Image description

‘আমরা ওই রাতে একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি উঠানে ও ঘরে অনেক মানুষ। ঘরে ঢুকে দেখি কেউ ফজর আলীকে মারছে, কেউ আমার মেয়ের নগ্ন ভিডিও করছে। আমি চিৎকার করেও কাউকে থামাতে পারিনি।পরে লোকজন এলে তারা চলে যায়।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ওই নারীর মা। ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘ফজর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, বিবস্ত্রর অবস্থায় নির্যাতনও করেছে। কিন্তু তারা ভিডিও তা ছড়িয়ে দিল কেন।আমার মেয়ের তো এখন সবই শেষ।’

 

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘শাহ পরান (ফজরের ছোট ভাই) সন্দেহ করেছিল আমার সঙ্গে ফজর আলীর (৩৮) সম্পর্ক আছে। এজন্য কিছুদিন আগে শাহ পরান এসে আমার মোবাইল ফোন চেক করতে চায়। দিতে অস্বীকার করলে শাহ পরান মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়আমি ফজর আলীকে এ ঘটনা জানিয়েছিলাম। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা ভিডিও করেছে তাদের সবাইকে চিনি। তাদের নামে থানায় মামলা করেছি। আশা করি বিচার পাব।