Image description

দেশে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) অবদান বাড়ছে। ফলে এ খাতে কর্মসংস্থানও যে বাড়ছে তা স্পষ্ট।

অথচ উল্টো বাড়ছে বেকারত্ব। বেকারত্ব ঘোচাতে এ খাতে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও তা পুরোপুরি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা না থাকাকে যেমন দায়ী করা হচ্ছে, তেমনি বিসিএস, ব্যাংকে চাকরি ও বিদেশে চলে যাওয়ার প্রবণতাকেও দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। খাত সংশ্লিষ্টরা সরকারের প্রশিক্ষণ ও সহায়তার পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদেরও আত্মনির্ভরতাবিরোধী প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এসএমই-এর সংখ্যা ছিল ৭৮ লাখ। সর্বশেষ এই সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ১৮ লাখে পৌঁছেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৭.৬০ শতাংশ। আর প্রতিবছরে দশমিক ১০ থেকে দশমিক ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। অথচ একই বছরে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৭ লাখ ৪০ হাজার ছুঁয়েছে।  

প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ কর্মবাজারে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। বিপুল এই জনশক্তির মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। যাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে তাদের বেশিরভাগ কৃষি, শিল্প, সরকারি বিভিন্ন খাতে যুক্ত হচ্ছে, কিছু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে। বেসরকারি উৎপাদন ও ট্রেডিংয়েও কর্মসংস্থান হচ্ছে। এর বাইরে কিছু মানুষের স্ব-কর্মসংস্থান হলেও বাকিরা বেকার থেকে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মসৃজনে বিপুল এই তরুণ যুবশক্তির যারা ব্যবসায় নামছেন, তাদের জন্য অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও বাজার সুবিধার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন ব্যবসায় আসার বড় প্রবণতা রয়েছে; আবার বড় অংশ আসছে পূর্বসূরীর পথ ধরে। নতুন এসব উদ্যোক্তার কাছে অর্থায়ন বড় সমস্যা। আর একেবারে নতুনের ক্ষেত্রে যুক্ত হয় দক্ষতার অভাবও।

জামাল হোসেন রাজধানীর মিরপুরের রোকেয়া সরণির একজন কাপড় ব্যবসায়ী। শুরুতে একই ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পরে অন্য একজনের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করেছেন। এখন তার প্রতিষ্ঠানে চারজন কর্মী। মিরপুর-১০ নম্বরের আরেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের। তিনি কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই কাঠের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। প্রথম হোঁচট খান, আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়ান। এখন তার প্রতিষ্ঠানে তিন কর্মী কাজ করছেন।

আবুল খায়ের বলেন, ব্যবসা কীভাবে শুরু করবো, মোকাম বা কাঁচামাল, উৎপাদন ও বাজারের ধারণা নিয়ে শুরু করতে হবে। এভাবেই ব্যবসা শুরু করছি। এরপরের কাজগুলো- ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংকে লেনদেন বা ভ্যাট-ট্যাক্সের ব্যাপারে ধারণা নিতে হয়। এসবের ট্রেনিং বা ধারণা নেওয়ার জায়গা থাকলে অনেক মানুষ ছোট্ট ব্যবসা (সিএসএমই বা এসএমই) শুরু করতে পারে এবং টিকে থাকতে পারে। একদিন এ ব্যবসাও বড় করা যায়।

মাশরুম উৎপাদন করে বাজারজাত করা নাটোরের লালপুরের আমিরুল ইসলাম অবশ্য প্রশিক্ষণ ও বাজারজাতের দুই সুবিধা পেয়েছিলেন। তার সুফলও পাচ্ছেন তিনি।

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শোরুম, দোকান বা ছোট্ট ছোট্ট ইউনিটে ব্যবসা করছে। সেখানেও কর্মসংস্থান ও শোভন কর্মসংস্থান (ডিসেন্ট ওয়ার্ক) হচ্ছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মসংস্থানে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাতে যেমন উদ্যোক্তা তৈরি হতে পারে, আবার স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্যেরও কর্মসংস্থান করতে পারে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণায় উঠে আসে, এসএমই খাতে কর্মসংস্থান শুধুই বেতন নয়, প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত নীতিমালাকে অনুসরণ করে। যে কারণে জীবন নির্বাহে শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়। এসএমই খাত যখন বিকশিত হয় মোট কর্মসংস্থানের ৬২ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীর শোভন মান নিশ্চিত হয়।

শ্রম বাজারে আসা তরুণরা যারা বেকার থাকে তাদের সংখ্যা ৮ থেকে ১০ লাখ। এরা হয়তো খণ্ডকালীন কাজ করে বা পেলেও শোভন কাজের ব্যবস্থা করতে পারেন না। বিবিএস-এর ২০২৫ সালের মে মাসের জরিপ অনুযায়ী, দেশে এ ধরনের বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ ৪০ হাজার। এক বছরে আগে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৫০ হাজার। এ জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি জরুরি এবং এতই গুরুত্বপূর্ণ যে চাকরির ক্ষেত্র তৈরিতে এসএসএ খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।  

এ বিষয়ে অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, লেখাপড়া শেষ করে যারা বের হচ্ছে চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজন দক্ষতা ও অভিজ্ঞা। সেই অভিজ্ঞতা দেবে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। সেখানে তারা সেই দক্ষতা অর্জন করবে, শিখবে এবং জীবন নির্বাহের জন্য চাকরিতে পৌঁছাতে পারবে। বিসিএস, বিদেশে যাওয়া বা ব্যাংকে যারা চাকরিতে ঢুকছেন তাদের কথা ভিন্ন এবং তাদের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু যারা সবেমাত্র শ্রম বাজারে ঢুকবে তাদের জন্য দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বেশি সুবিধাজনক। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি বেতনে দক্ষ ও কাজের জন্য লোক নেবে।  

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের মতে, বেকারের কারণ হলো তিন বি-এর মোহ। সেগুলো হলো বিসিএস ক্যাডার হওয়া, বিদেশে যাওয়া আর ব্যাংকে চাকরি পাওয়া। অভিভাবকরা মনে করেন তিন-বি সন্তানকে সামাজিক মর্যাদা দেয়। এই তিন বি-এর বৃত্ত থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীকে প্রফেশন হিসাবে অভ্যন্তরীণ বাজারে উৎপাদন ও মার্কেটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। এসএমই খাত আমাদের সেই জায়গাটা তৈরি হচ্ছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসএমই একটি শ্রমঘন শিল্প। এখানে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করে। এখানে যেমন শিল্প আছে, তেমনি আছে উৎপাদন ও বাণিজ্য। অর্থনীততে এসএমই খাতের অবদানের কথা বলি, কর্মসংস্থানের কথা বলি বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও যদি বলি-সব দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে আমরা‍ পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।  

তবে এসএমইতে প্রশিক্ষণ দেওয়া; ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কর্মসূচি গ্রহণ করা ও ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার মত অনেকগুলো কাজ হচ্ছে। এর ফলে এসএমই খাতের জন্য আবার অনেক সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই সুযোগ আসছে বিভিন্ন ইন্টারনেটনির্ভর ছোট্ট ব্যবসাতে। এসব জায়গাগুলোতে অনেক এসএমই আসছে। এখানে জোর দিতে হবে। এখানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে যেসব কর্মকাণ্ড চলছে বা কর্মসংস্থান হতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন; বলেন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির এই বিশেষ ফেলো।

এক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে, এটা ভালো উল্লেখ করে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখানে অনেক সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে বড় শিল্পের সাব কন্ট্রাকটিং যে কাজগুলো আছে বাইরের দেশে সেগুলো করে থাকে। জাপান বা জার্মানিতে বড় বড় শিল্পগুলোর কাজগুলো স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম শিল্পগুলো সাপ্লাই চেইনের মধ্যে আনতে বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশে এই সংযোগটা আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে। এসএমই খাতভুক্ত তৈরি পোশাক, তৈরি পোশাকের ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রপ্তানিতে এসএমই খাতের অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও দৃষ্টি দেওয়ার তাগিদ দেন অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এসএমই খাতের সঙ্গে গ্লোবাল মার্কেটের সংযোগ স্থাপন আমাদের দেশে খুবই নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর কারণ হলো পণ্যের কোয়ালিটি। পণ্যের বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ডার্ড মানতে হয়, আমাদের দেশে অনেক এসএমই এটা রক্ষা করতে পারে না। এজন্য তারা বৈশ্বিক মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারছে না। এই দিকটায় দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন।

বেকারের কর্মসংস্থানে পুরোনো এসএমই খাতের পৃষ্ঠপোষকতা আরও এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার শুরুতে সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় অংশ আছে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। কিন্তু সার্বিক বাজার ব্যবস্থাতে যা হয়, এসএমই খাতে চ্যালেঞ্জ থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিতরণ চ্যানেলগুলোতে এসএমইদের জন্য ঢোকা কঠিন হয়। একইসঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসএমইর জন্য সহজও। বৃহৎ অর্থে যেটা করতে হয়, সেটা হলো এসএমই খাতের নিজস্ব যে মার্কেট সেখানে বড় কোম্পানিগুলোর চেয়ে বেশি সেবা দিতে হবে।  

ডিসিসিআইয়ের সাবেক এ সভাপতি বলেন, কর্মসংস্থানকে আরও গতিশীল করতে এসএমই খাতে মনোযোগ দিতে হবে। তারই অংশ হিসাবে বাজারের ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কের উন্নয়ন ও নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে এসএমই খাতের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা; দক্ষতার অভাব এবং অর্থায়নের অভাব। এছাড়া চিন্তার জায়গা থেকেও এসএমই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।  

‘এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যদি অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কথা ধরি, যদি জার্মানির কথা বলি সেখানে এসএমই খাতে সরাসরি সহায়তা দেওয়া হয়। আমাদের এখানে সার্ভিস এবং ডেলিভারির ক্ষেত্রে এ ধরনের সহায়তার দেওয়ার জন্য অনেক কিছু করার আছে। এটা করা গেলে একই সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক থাকবে, এসএমই লাভবান হবে সর্বোপরি এসএমই কর্মসংস্থানে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে,’ বলেন আশরাফ আহমেদ।  

যা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন
এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি হলে একদিকে স্ব-কর্মসংস্থান হবে, অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীর কর্মসংস্থান করবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি স্ব-কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে এসএমই খাতের সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত ১০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার বিদ্যমান উদ্যোক্তার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হয়েছে। দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে তাদের মধ্যে উদ্যোক্তার মানসিকতা তৈরিতে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এসো উদ্যোক্তা হই’ কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদানমূলক কর্মশালা আয়োজনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা তৈরি এবং উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন কার্যক্রমের অধীনে সংস্থাটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সুবিধার ওয়ার্ক স্পেস দেওয়া, সভাকক্ষ ব্যবহার, প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, সফল উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়, ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন, ব্যবসায় নেটওয়ার্কিং, মার্কেট লিঙ্কেজ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, ঋণ প্রাপ্তি বিষয়ে সহায়তা, গবেষণা ও পলিসি বিষয়ক সহায়তা, কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে সংযোগ সাধন, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়সহ প্রায় ১৬ ধরনের কাজ করছে।