Image description

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আমরা ৪টি বিষয়ে কনফিডেন্ট—স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, টেকসই গণতন্ত্র, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। এই চারটি বিষয়ে যারা ঐকমত্য পোষণ করবে তাদের সবার সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে।’বলেছেন, ‘আমরা ৪টি বিষয়ে কনফিডেন্ট—স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, টেকসই গণতন্ত্র, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। এই চারটি বিষয়ে যারা ঐকমত্য পোষণ করবে তাদের সবার সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে।’

এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের ঐক্য হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে যুগান্তরকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ডা. তাহের।  

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, এই চারটি পয়েন্টে কোনো দলের দ্বিমত পোষণ করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। জামায়াতে ইসলামী বৃহৎ আকারে চিন্তা করে। দেশের স্বার্থেও বৃহৎ আকারে অনেক কিছু চিন্তা করে। 

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, ‘সব দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। উনার (ড. ইউনূস) নেতৃত্বেই একটি সফল সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা চেয়েছি।  নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে বলেছি, জুন এবং মে মাস আবহাওয়াগতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী নয়। তাহলে মে ও জুন বাদ দিলে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল। এর মাঝে একটি রোজা আছে। আমরা বলেছি এর ভেতরেই আপনি একটা তারিখ ঘোষণা করবেন। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে একটি সুবিধামতো সময়ে আপনি তারিখ দিলেই জনমনে যে শঙ্কা ও অস্বস্তি আছে, তা কেটে যাবে।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতির জন্য প্রচারণায় মনোযোগী হবে। প্রবাসীদের ভোটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমতল করা) অনেক আগে থেকে তৈরি করতে হবে।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, সংস্কারের বিষয়ে বলেছি, জুলাইয়ের ভিতরে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। তারপর একটা জুলাই সনদ হবে যেখানে স্বাক্ষর করার জন্য সব রাজনৈতিক দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছি।