Image description
 

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তেহরানের কোনও বার্তা আদান-প্রদান হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের রাজনৈতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভানচি। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্য কোনো দেশে ইরানের সম্পদ আটকে নেই বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মেহের নিউজ এজেন্সি। 

২০১৫ সালে ইরান এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য এবং জার্মানির মধ্যে জয়েন্ট কমপ্রিহ্যানসিভ প্ল্যান অব একশন (জেসিপিওএ) স্বাক্ষরিত হয়। জেসিপিওএ-চুক্তি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি একচেটিয়াভাবে শান্তিপূর্ণ হবে- তা নিশ্চিতের জন্য স্বাক্ষরিত হয়।

তবে, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে চুক্তি থেকে একতরফা বেরিয়ে আসেন।  তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ইঙ্গিত দেন, তিন চুক্তিতে পুনরায় যুক্ত হতে প্রস্তুত। 

 

এরপর রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে চুক্তিটি পুনঃস্থাপনের জন্য ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল, চুক্তিতে পুনরায় যোগদান এবং ইরান-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা অপসারণের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের গুরুত্ব যাচাই করা। 

পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের উপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার জন্য ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থানের উপর জোর দেওয়ার কারণে আগস্ট মাস থেকে আলোচনা স্থগিত রয়েছে। 

এ বিষয়েই ইরানের রাজনৈতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভানচি বলেছেন, তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনও বার্তা আদান-প্রদান হয়নি।