Image description
 

চীন থেকে ইরানের উদ্দেশে যাওয়া একটি কার্গো জাহাজে অভিযান চালিয়েছে মার্কিন সেনারা। সম্প্রতি প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী সামুদ্রিক কৌশলের সর্বশেষ উদাহরণ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, শ্রীলঙ্কা থেকে কয়েকশ মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটিতে ওঠে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ইরানগামী কোনো কার্গো জাহাজে অভিযান চালাল।

 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার কয়েক সপ্তাহ আগেই অভিযানটি হয়। ওই তেল ট্যাংকারটি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র জব্দ করে।

 
 

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযান নিশ্চিত করেনি। তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানান, জাহাজ থেকে এমন কিছু সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে যা ইরানের প্রচলিত অস্ত্র ব্যবস্থায় ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও তিনি উল্লেখ করেন, এসব সামগ্রী দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য—অর্থাৎ সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা সম্ভব।

 

কর্মকর্তারা জানান, তল্লাশি শেষে জাহাজটিকে তার গন্তব্যে যেতে দেওয়া হয়। পুরো অভিযানে মার্কিন বিশেষ অভিযান বাহিনী অংশ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরান ও চীন—কেউই এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বেইজিং দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ বলে দাবি করে আসছে।

এর আগে শুক্রবারই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জব্দ করা তেল ট্যাংকারের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেন। জব্দের পর জাহাজটি শুক্রবার টেক্সাসের একটি বন্দরে নেওয়া হয়।

গুও জিয়াকুন বলেন, চীন একতরফা অবৈধ নিষেধাজ্ঞা, দীর্ঘহাতের বিচারিক ক্ষমতা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই আরোপিত নিষেধাজ্ঞার অপব্যবহারের বিরোধিতা করে।

এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, ভেনেজুয়েলার আশপাশের জলসীমায় ভবিষ্যতেও জাহাজ জব্দের সম্ভাবনা নাকচ করছে না ট্রাম্প প্রশাসন।