Image description
 

ভারতের ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে যৌথহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) বাহিনীর তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই দন্তেওয়াড়া জেলার সীমানাবর্তী ওই এলাকায় পৌঁছেছে বাড়তি বাহিনী। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাতেও অভিযান চলছিল।

ছত্তীসগঢ় পুলিশের পুলিশের আইজি (বস্তার রেঞ্জ) সুন্দররাজ পাটিলিঙ্গম বুধবার বিকালে বলেন, ‘‘দন্তেওয়াড়া এবং বিজাপুরের ডিআরজি, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং কোবরা (কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের কমান্ডো বাহিনী) সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন।’’

নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র গতিবিধির খবর পেয়েই যৌথবাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। সংঘর্ষস্থল থেকে ১২ মাওবাদীর মরদেহের পাশাপাশি সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর), ইনসাস, .৩০৩ রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ নিয়ে চলতি বছর ছত্তীসগঢ়ে ২৭৫ জন নেতাকর্মী নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন- মাওবাদী সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, তার স্ত্রী রবি ভেঙ্কট লক্ষ্মী চৈতন্য ওরফে অরুণা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, পিএলজিএ’র শীর্ষ কমান্ডার মাধভী হিডমার মতো শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। 

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের উপস্থিতিতে গড়ছিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে সোনু। মাওবাদী সংগঠনে ‘তাত্ত্বিক মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি,