Image description
"ইউনুস সরকারের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির ওপর হামলা" শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম।
একটি ভিডিওর স্ক্রিনশট যুক্ত করে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনার ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিবের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কলকাতা টোয়েন্টিফোর নামে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “রাতের দিকে আরও একটি বড় ঘটনা সামনে আসে— রাজধানীর একটি প্রধান সড়কের মাঝখানে ইউনুস সরকারের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির ওপর হামলা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁর গাড়ি থামিয়ে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে।”
তবে ওই ডেপুটি প্রেস সচিবের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
দ্য ডিসেন্ট সামাজিক মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখতে পায়, আওয়ামীপন্থী কিছু ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদারের ওপর (তার গাড়িতে) গতকাল হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ভিডিওরই স্ক্রিনশট ব্যবহার করেছে কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
তবে ডিজিটাল অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গত ১৫ অক্টোবর প্রথম ’নিউজ নাও বাংলা’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে প্রথম পোস্ট করা হয়, “লাগামহীন প্রাইভেটকার ড্রাইভারকে 'জয়বাংলা' করে দিছে এক বাইকার!” ক্যাপশনযোগে।
অর্থাৎ, এটি হাসিনার ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার অন্তত ১ মাস আগে প্রকাশিত ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বাইকার একটি প্রাইভেটকারের গাড়িচালক ট্রাফিক নিয়ম না মানাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি করছেন। এক পর্যায়ে গাড়ির পেছনে বসে থাকা এক ব্যক্তি দরজা খুলে বাইকারকে উদ্দেশ্য করে মারমুখী ভঙ্গি করার পর গাড়ির চালক এবং আরও একজন মিলে বাইকারের ওপর হামলা করেন।
দ্য ডিসেন্ট জিওলোকেশনের মাধ্যমে ঘটনাস্থলটি ঢাকার গুলশান এলাকা বলে নিশ্চিত হয়েছে।
গুলশান ট্রাফিক জোনের কাছে ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা কোন তথ্য দিতে পারেননি।
তবে ভিডিওতে দৃশ্যমান গাড়ির পেছনে থাকা ব্যক্তিটি যে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার নন তা ওই ব্যক্তির চেহারার সাথে ডেপুটি প্রেস সচিবের চেহারার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে দ্য ডিসেন্ট।
একাধিক ফেইস কম্পারিজন টুলের মাধ্যমে দুইজনের ছবি যাচাই করলে সবক্ষেত্রে দুটি চেহারা ভিন্ন ব্যক্তির বলে টুলগুলোর ফলাফলে এসেছে।
পাশাপাশি দুই ব্যক্তির চেহারার বিভিন্ন ফিচার চাক্ষুসভাবে পর্যবেক্ষণ করলেও স্পষ্টতই বুঝা যায় তারা ভিন্ন ব্যক্তি।