Image description

ইসরায়েলের বিমান হামলা বুধবার ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের গণমাধ্যম কার্যালয়ে আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহী এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, ‘প্রাথমিক হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৯ জনে পৌঁছেছে ও আহত ১১৮ জন। সিভিল ডিফেন্স, অ্যাম্বুল্যান্স ও উদ্ধার দল এখনো নিখোঁজদের খুঁজছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা যুদ্ধ চলাকালীন ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে সানাও রয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘অল্প কিছুক্ষণ আগে আইএএফ (ইসরায়েলি বিমানবাহিনী) ইয়েমেনের সানা ও আল-জওফ এলাকায় হুতি সন্ত্রাসী শাসনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল ‘সন্ত্রাসী শাসনের সদস্যদের উপস্থিত সামরিক শিবির, হুতিদের সামরিক জনসংযোগ সদর দপ্তর ও জ্বালানি সংরক্ষণ কেন্দ্র।’

হুতিরা জানিয়েছে, তারা বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে পাল্টা আঘাত করছে।

হুতি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, ‘আমাদের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে ইসরায়েলি বিমানগুলোকে প্রতিহত করছে, যারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে।’

এএফপির দুই সাংবাদিক জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহৃত একটি ভবনে হামলা হয়েছে।

হুতিদের আল-মাসিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় আল-জওফ প্রদেশের সরকারি ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা উত্তর ইয়েমেনে, সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী এলাকা।

এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কয়েক দিন আগে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ড্রোন দক্ষিণ ইসরায়েলের রামন বিমানবন্দরে আঘাত হেনে একজনকে আহত করেছিল।

গত মাসে ইসরায়েলি হামলায় হুতি প্রধানমন্ত্রী ও ১১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হন—গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের হত্যাকাণ্ড।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের দাবি জানিয়ে হুতিরা বারবার ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। জবাবে ইয়েমেনে একের পর এক পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যার লক্ষ্য ছিল বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।