
উপসাগরীয় অঞ্চল কাতারে ইসরাইলের হামলার পর প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে দোহা। মধ্যপ্রাচ্যের এই ধনী দেশটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—ইসরাইলের ওপর চরম প্রতিশোধ নেবে কাতার। এরপর থেকেই দেশটির সামরিক শক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ইসরাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালালে দোহা কতটা কার্যকর আঘাত হানতে পারবে, তা নিয়ে চলছে বিচার-বিশ্লেষণ।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (GFP) র্যাংকিং অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে কাতারের বর্তমান অবস্থান ৭২তম। দেশটির সক্রিয় সেনাবাহিনীর সংখ্যা ৬৬ হাজারের বেশি, রিজার্ভ সৈন্য আছে প্রায় ১৫ হাজার। এছাড়া আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য রয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার।
কাতারের সামরিক শক্তির অন্যতম ভরসা তাদের আধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার। বহরে রয়েছে বিশ্বখ্যাত লেপার্ড-২ ট্যাংক, যার সংখ্যা ৬০টির বেশি। বিমান বাহিনীতে রয়েছে মিরাজ-২০০০ ও স্টেলথ প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান—যা একাধিক অভিযানে একইসঙ্গে ব্যবহারের ক্ষমতা রাখে। এছাড়া রয়েছে AH-64 অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক FQA যুদ্ধবিমান (কাতারে যার নাম ‘আবাবিল’), এবং যুক্তরাজ্য থেকে কেনা ইউরোফাইটার টাইফুন।
স্থলবাহিনীর শক্তি বাড়াতে কাতার বহরে যুক্ত করেছে ৬২টি লেপার্ড-২ A7 ট্যাংক, যা বর্তমান সময়ের অন্যতম কার্যকর যুদ্ধাস্ত্র।
এছাড়া কাতারে রয়েছে বিশাল মার্কিন সেনাঘাঁটি, যেখানে অবস্থান করছে ১০ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা ও উন্নত সামরিক সরঞ্জাম। তবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সেই ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে, কাতারের একনিষ্ঠ সমর্থক তুরস্কও দেশটিকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতারে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন। তবে এই ঘনিষ্ঠ সামরিক সহযোগিতাকে ভালো চোখে দেখছে না প্রতিবেশী সৌদি আরবসহ অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো।