
নাসের হাসপাতালের ল্যাবরেটরি অ্যান্ড ব্লাড ব্যাংক পরিচালক ডাঃ সোফিয়া জা’আরাব জুনের শুরুর দিকে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে, দান করা রক্তের ইউনিটের তীব্র ঘাটতি ‘সঙ্কটজনক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা রোগীদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে, যাদের অনেকেরই জরুরি রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। পুরো গাজায় প্রতিদিন ৪০০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন।
‘রক্তের ইউনিট স্থানান্তরের জন্য পশ্চিম তীরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও, দখলদার কর্তৃপক্ষ সেগুলো (গাজায়) প্রবেশে বাধা দিয়েছে,’ ডাঃ জা’আরাব বলেন।
নার্স হানান জানান, চলমান ইসরাইলি অবরোধ এবং মাংস, দুধ, ডিম এবং ফলের মতো পুষ্টিকর খাবারের অভাবের ফলে রক্তদাতারাও রক্তসল্পতা এবং অপুষ্টিতে ভুগছেন। হাসপাতালে দান করা রক্তের ইউনিটের দুই-তৃতীয়াংশের হিমোগ্লোবিন এবং আয়রনের মাত্রা অত্যন্ত কম, যা রক্ত সঞ্চালনের জন্য অযোগ্য করে তোলে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ইসরাইলি গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৬৬ জন শিশু অনাহারে মারা গেছে। ইউনিসেফের মতে, শুধুমাত্র মে মাসেই তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য ৫,০০০ এরও বেশি শিশুকে স্ট্রিপের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভর্তি করা হয়েছিল।
এমনকি যদি এই শিশুদের মধ্যে কিছু অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়, তবুও তারা সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার, তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের এবং স্থিতিশীল, নিরাপদ জীবন উপভোগ করার সুযোগ পাবে না।
সূত্র: আল-জাজিরা।