
ফিলিস্তিনির গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও খাবারের অভাবে এ পর্যন্ত মারা গেছেন আরও ২৯ ফিলিস্তিনি বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বহু বৃদ্ধ, নারী ও শিশুও রয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেইর আল বালাহর আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলায় বহু হতাহতকে উদ্ধার করে আল-আকসা শহিদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আশরাফ আমরার তোলা ছবিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত শিশুদের কোলে নিয়ে ছুটছেন আহত স্বজনেরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি যেসব শিশু ও বৃদ্ধ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে অনাহারে, যাকে ‘অনাহারজনিত মৃত্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে এবং হাজারো মানুষ বর্তমানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের বিভিন্ন শহরে চালানো ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। এই হামলাগুলোকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ২০২৪ সালের নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
গাজায় সাত মাস ধরে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ২২ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে গাজা সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আসল মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি, কারণ ধ্বংসস্তুপের নিচে নিখোঁজ বহু মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হচ্ছে।