যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইউটিউবার ও বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন তার সাম্প্রতিক এক ইউটিউব ভিডিওতে আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটাক্ষ এবং আক্রমণাত্মক ভাষায় বক্তব্য প্রদান করেন। ভিডিওর শুরুতে তিনি বলেন, “আজকের ভিডিওতে কিঞ্চিত আওয়ামী লীগকে বাম্বু দেওয়া হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, আগে অনেক সমালোচনা করতেন, ইচ্ছামতো বাশ দিতেন, কিন্তু এখন তা করেন না কারণ বর্তমানে "রাষ্ট্র মেরামতের কাজে" নিয়োজিত আছেন। তিনি দাবি করেন, এখন তাদের লোকজন দেশ চালায় এবং আওয়ামী লীগ এখন "এতিম" অবস্থায় আছে।
ইলিয়াস হোসেন দাবি করেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থা খুবই দুর্বল। তিনি বলেন, এরা এমন নিম্নমানের রিফিউজি যাদের খাবার পর্যন্ত জোটে না। তিনি আরও বলেন, এই দলটির শিকড় এখনো পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের কিছু অঞ্চলে রয়ে গেছে। ভিডিওতে তিনি আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ৭১-এর যুদ্ধের ভূমিকা, এবং শেখ মুজিবের পরিবার নিয়েও অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "আমরা পাকিস্তানি, আমাদের বাপ-দাদা পাকিস্তানি," এবং আওয়ামী লীগ এখন “রিফিউজি মানসিকতায়” ভোগে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে, পুলিশের মাধ্যমে দমন-পীড়ন চালিয়েছে এবং ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত সরকারের সাথে আপস করে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তিনি বলেন, তারা এখন নিজেরাও নিজেদের আওয়ামী লীগ বলতে লজ্জা পায় এবং বিএনপি বা জামায়াত পরিচয় দিতে চায়।
ইলিয়াস হোসেন দাবি করেন, আওয়ামী লীগ আর কখনো আগের নাম দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তিনি বলেন, “তোরা আওয়ামী লীগ করিস এটা কেউ বলতে পারবি না মুখ দিয়া।” তিনি দাবি করেন, বিএনপি ও জামায়াত তাদের অনেক বেশি শক্তিশালী এবং তাদের ভাঙার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ইশরাক হোসেনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “পুলিশ ছাড়া তোরা একঘণ্টাও মাঠে দাঁড়াতে পারবি না।”
ভিডিওতে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়ে বলেন, তাদের পরিবারে কোনো ভালো মানুষ নেই, তাদের চরিত্র বিকৃত এবং বিকৃত যৌনাচার থেকে তাদের উৎপত্তি। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও তিনি অশালীন ভাষায় কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “শেখ পরিবারে ভালো কোনো মানুষ নেই,” এবং তাদের রক্ত, চরিত্র ও ইতিহাস সবটাই কলুষিত।
শেষে তিনি বলেন, এই ভাষায় বলার জন্য দুঃখিত হলেও পরিস্থিতির কারণে তাকে এমনভাবে বলতে হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে যে তারা জনগণের মুখোমুখি হতে পারে না এবং তাদের ওপর জনগণের ক্ষোভ প্রবল। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আবার ক্ষমতায় আসলে আগের চেয়েও ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
