তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুর খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশ ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে তিনি যে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধীতা করতেন সেগুলো তুলা ধরা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, খালেদা জিয়া তৎকালীন অখণ্ড ভারতের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটকালে তাকে পুতুল নামে ডাকা হতো। এরপর সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বিয়ের পর তার নামের সাথে যুক্ত হয় জিয়া উপাধি।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে পুনম পান্ডের ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ডমিস্টিক পলিটিক্স’ নামে একটি বইয়ের উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হলেও তিনি ভারত সফরে গিয়েছিলেন মাত্র দুইবার। এরমধ্যে একবার ১৯৯২ সালে নয়াদিল্লি যান তিনি।
ওই সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পুনম পান্ডে তার বইয়ে লিখেছেন, খালেদা জিয়ার সফরের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন অনেক বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে বাস করেন।
তখন খালেদা জিয়া তাকে মুখের ওপর জবাব দিয়ে বলেছিলেন, “ভারতে বাঙ্গালিরাও বাংলা বোঝেন, বাংলায় কথা বলেন— যার অর্থ এই নয় যে তারা বাংলাদেশি।”
এদিকে বিএনপির প্রেস উইং ও ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট অবিভক্ত ভারত বর্ষের জলপাইগুঁড়ির নয়াবস্তির ছোট্ট শহরে বেগম জিয়ার জন্ম। তার নাম রাখা হয় ‘শান্তি’। পরে মেজো বোন সেলিমা ইসলাম তার নাম রাখেন ‘পুতুল’। পরবর্তী পর্যায়ে তার পরিবার দিনাজপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তার বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। তাদের আদি বাড়ি ছিল ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে।
১৯৬০ সালে খালেদা জিয়া দিনাজপুর সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া করেন। কলেজে পড়ার সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। ওই সময় জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে