Image description

রাজবাড়ীর পাংশার কলিমহরে চাঁদাবাজি করার সময় গণপিটুনিতে আলোচিত সম্রাট বাহিনীর প্রধান অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় দুটি অস্ত্রসহ তার সহযোগী সেলিম নামে আরেক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। 
 
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মইনুদ্দিন ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাত পৌনে এগারোটার দিকে কলিমহরের হোসেনডাঙ্গা এলাকায় গণপিটুনিতে সম্রাটের মৃত্যু হয়। তার নামে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগানসহ আটক করা হয়েছে। সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে কলিমহরের হোসেনডাঙ্গা এলাকায় গণপিটুনিতে সম্রাটের মৃত্যু হয়। তার নামে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ সময় সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগানসহ আটক করা হয়েছে। সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, সম্রাট হোসেন ডাঙ্গার অক্ষয় মন্ডলের ছেলে। তিনি নিজের নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করতেন। দীর্ঘদিন সম্রাট ভারতে পালিয়ে থাকার পর কিছুদিন আগে নিজ এলাকায় ফিরে এসে একটি বাড়িতে চাঁদা দাবি করেন। কিন্ত ওই বাড়িওয়ালা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। 

 

গতকাল রাতে সম্রাট তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই বাড়িতে চাঁদা আদায় করতে যান। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও দুটি অস্ত্রসহ ধরা পড়ে পাশের জেলা কুষ্টিয়ার সেলিম নামে এক সন্ত্রাসী।