Image description
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে গণসংবর্ধনার আয়োজন করছে দলটি। রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় এ আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে মঞ্চ তৈরির কার্যক্রম চলছে।

 

প্রায় দেড় যুগ পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে তুলতে এবং রাজকীয় সংবর্ধনা দিতে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকায় ৩০০ ফিটের একটি বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।

 
 

এদিকে তার আগমন উপলক্ষে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। স্লোগান, প্ল্যাকার্ড ও উচ্ছ্বাসে পুরো মঞ্চ এলাকাকে উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত করেছে।

বুধবার সকাল থেকেই মঞ্চের শেষ মুহূর্তের কাজ ও সজ্জার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার, পতাকা, তোরণ ও আলোকসজ্জায় সাজানো মঞ্চ এলাকা পরিদর্শনে নেতাকর্মীরা হাজির হচ্ছেন। অনেকেই আগের রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঞ্চ ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টিমও টহল দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ চলছে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আলামিন বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মুহূর্ত। ২৫ ডিসেম্বর শুধু বিএনপির নয়, সাধারণ মানুষেরও আনন্দের দিন। মানুষের চোখ-মুখে উচ্ছ্বাস দেখলে বোঝা যায়, নেতৃত্ব ও জনগণ একসঙ্গে রয়েছে।

তিতুমীর কলেজের ছাত্রদল নেতা মীর মোহাম্মদ খোকন বলেন, নেতাকে স্বাগত জানাতে মানুষের আগমন এক জাতীয় উৎসবের মতো। আমরা পুরো আয়োজন সুন্দরভাবে শেষ করতে প্রস্তুত। এ সমাবেশ প্রমাণ করবে, নেতার পেছনে জনগণ আছে। এত বছর পরও তার নামেই মানুষ পথের পাশে দাঁড়ায়, এটা সাধারণ ব্যাপার নয়।

জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে বনানী ও কাকলী হয়ে সরাসরি সংবর্ধনা মঞ্চে উঠবেন তারেক রহমান। মঞ্চ নির্মাণের কাজ রোববার শুরু হয়ে আজকের মধ্যে শেষ হওয়ার দিকে। মঞ্চের আকার ৪৮–৩৬ ফিট, এবং সংবর্ধনা কমিটির সদস্যরা দিন-রাত তদারকি করছেন। পুরো এলাকাজুড়ে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।