বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭২ হাজার শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে তিন অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হলেও এখনো সঠিকতা যাচাইয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। এ অবস্থায় কবে নাগাদ ৭ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
যদিও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, শিগগিরই শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কার্যক্রম শেষ হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে তথ্য যাচাই করে তা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে পাঠানো হবে। ফলে চলতি সপ্তাহে সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমোদন দিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম উদ্দিন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এনটিআরসিএর কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর মাউশির নয়টি অঞ্চলের পরিচালক এবং উপ-পরিচালক বরাবর চিঠি ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এখনো সঠিকতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন আসেনি। রিপোর্ট আসলে এনটিআরসিএকে ফিডব্যাক জানিয়ে দেওয়া হবে।’
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তিন কার্যদিবসের সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। গতকাল সরকারি বন্ধ থাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তথ্য পাঠানোর সময় রয়েছে। তথ্য আসার পর আগামী সপ্তাহের শুরুতে এটি এনটিআরসিএকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শূন্য পদের সঠিকতা যাচাইয়ের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ৭ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমোদন দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। এর পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শূন্য পদের সঠিকতা যাচাই হলে এনটিআরসিএ মৌখিকভাবে আমাদের জানাবে। এরপর সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমোদন দেওয়া হবে।’
এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছিলেন, ‘সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। এই দুইটি কাজ সম্পন্ন হলে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য ৭২ হাজার শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে স্কুল-কলেজে ৩০ হাজার ২৭৯টি শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। মাদ্রাসায় ৪০ হাজার ৮৩৮ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮৯১টি পদের তথ্য পাওয়া গেছে।