Image description

দেশের নির্বাচনমুখী দলগুলো এ মুহূর্তে পাঁচটি জোটে বিভক্ত। তবে নির্বাচনী আসন বণ্টন জটিলতায় জোটগুলো অটুট থাকবে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিএনপির সঙ্গে আসন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ক্ষুব্ধ মিত্র দলগুলোর। বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশিত আসন না পাওয়া কয়েকটি দল জামায়াতে ইসলামীর ‘নির্বাচনী সমঝোতা’র বলয়ে ঝুঁকছে। কিন্তু সেখানেও আসন নিয়ে টানাপোড়েন আছে।

গতকাল রোববার নিজেরা পৃথক জোট করলেও বিএনপি অথবা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথ খোলা রেখেছে এনসিপি।

 

ভোটের মাঠে বড় শক্তি নয়, কিন্তু পরিচিত– এমন ৯টি বামপন্থি দলও নির্বাচনী জোট করেছে। জাতীয় পার্টিসহ (জেপি) আওয়ামী লীগের কয়েকটি মিত্র দলের জোটের আজ সোমবার আত্মপ্রকাশ করার কথা আছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মতো তৎপরতা নেই ১৪ দলের শরিকদের। আর ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি এখনও একা। দলটির নির্বাচনী তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।

দলগুলো কে কোন জোটে 

 

আগামী ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আছে ১২ দলীয় জোট, ১১ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, পাঁচদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, বিজেপি, এনডিএম, গণঅধিকার পরিষদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও গণফোরাম। 

জামায়াত নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী সমঝোতায় রয়েছে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, জাগপা, ও বিডিপি। আসন না পেয়ে বিএনপিকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে সঙ্গ ছাড়া লেবার পার্টি জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। 

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট করেছে। গতকাল এই জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। বিএনপির কাছ থেকে আসনের আশ্বাস না পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন গণতন্ত্র মঞ্চ ছেড়ে এই জোটে এসেছে। আসন না পাওয়া আরও কয়েকটি দল আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য-ন্যাপ, বাসদ (মাহবুব) মিলে গঠন করেছে গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট। 

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট নামে নির্বাচনী মোর্চার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় পার্টি (আনিস-হাওলাদার), জাপা (মতিন), মুসলিম লীগ, এনপিপিসহ ১৬টি দল। জি এম কাদেরের সঙ্গে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত আগস্টে জাতীয় পার্টি ভেঙে একই নামে আরেকটি দল হয়। নিবন্ধিত জেপি, জাপা (মতিন), মুসলিম লীগ, এনপিপি ডামিখ্যাত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। 

নিবন্ধিত ৫৬ দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরীকত ফেডারেশন, বিকল্পধারাসহ কয়েকটি দলের এখন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। 

বিএনপির মিত্রদের ক্ষোভ, খুঁজছে ভবিষ্যৎ 

দুই দফায় ২৭২ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বাকি ২৮ আসনের ১২টিতে মিত্র দলের নেতাদের প্রার্থী করার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছে তারা। তিনটি আসন মিত্র দলগুলোকে ছাড়তে আলোচনা চলছে। বাকি ১৩ আসনের চারটিতে সীমানা জটিলতার কারণে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। অবশিষ্ট ৯ আসনে দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর চাপে প্রার্থী ঘোষণা করা যায়নি। 

২৪৪ আসনের তালিকা দিয়ে ১২টিতে ছাড় পেয়ে ক্ষুব্ধ যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকা সমমনা ও মিত্র দলগুলো। আসন বণ্টন নিয়ে প্রকাশ্যে বিএনপির সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্সের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। 

একাধিক মিত্র দলের নেতা সমকালকে বলেন, আসন নিশ্চিত না করায় নির্বাচনের প্রচার ও প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। তারা বিভক্তি না চাইলেও শিগগির সমস্যার সমাধান না হলে এককভাবে নির্বাচন করবেন। 

জোট নেতারা জানান, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং নির্বাচনে জয়ী হলে একসঙ্গে জাতীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার আগে আলোচনাও করেনি। মিত্র দলের শীর্ষ নেতাদের প্রত্যাশিত আসনেও প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। তবে এ দলগুলো এখনই লেবার পার্টির মতো বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চায় না। 

বিএনপির দুটি মিত্র জোট ও পাঁচটি দল ১০৬ প্রার্থীর তালিকা দিয়েছিল। বাম ঘরানার গণতন্ত্র মঞ্চ ১৩৮টি আসনে জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। 

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সমকালকে বলেন, যেসব আসন শূন্য রাখা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কোন আসন শরিকদের দেওয়া হবে, তা পরে ঠিক করে জানানো হবে। তবে আসন বণ্টন নিয়ে কে অসন্তোষ প্রকাশ করছে, সে বিষয়ে তিনি এখনও জানেন না বলে জানান। 

সমমনা দলের নেতারা সমকালকে বলেন, বিএনপি প্রথম দফায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণার সময় আশ্বস্ত করেছিল বাকি আসনে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু আলোচনা ছাড়াই গত বৃহস্পতিবার আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা সমকালকে বলেন, মাঠে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর তৎপরতার কারণে নির্বাচনের পরিস্থিতিতে বদল এসেছে। এ পরিস্থিতিতে মিত্র দলের সব প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আসন ছাড়তে হিসাবনিকাশ করতে হচ্ছে। সংশোধনী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) কারণে ছোট দলগুলোর নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন না। ফলে তাদের আসন ছেড়ে দিলে আসন হারানোর ঝুঁকিও থাকছে। 

এসব যুক্তি মানতে নারাজ মিত্র দলগুলো। তারা বলছেন, সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে বিএনপির সমর্থকরা তাদের ভোট দিলে জয় সম্ভব। বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি সক্রিয় না হয়, তাহলে ভিন্ন কথা।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সমকালকে বলেন, বিএনপির অবস্থান ও আচরণ শরিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি করছে। বিএনপি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসছে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। তপশিল ঘোষণা পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ ও আলাপ-আলোচনার চেষ্টা চলবে। পরবর্তী সমঝোতা পুরোপুরি নির্ভর করবে বিএনপির ওপর। তারা কীভাবে সহযোগিতা করে, কীভাবে এগিয়ে আসে, সেটাই দেখার বিষয়।
সাইফুল হক ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পরে ঢাকা-১২ আসন চান সাইফুল হক। এ আসনেও দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। 
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফারিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইল-২ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালে এ আসন থেকে ধানের শীষে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। এবার সেখানে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এতে ক্ষুব্ধ এনপিপির চেয়ারম্যান ফরহাদ বলেন, বিএনপি বিপদে পড়লে সবার সহযোগিতা চায়। আর যখন মনে করে একাই ক্ষমতায় যেতে পারবে, তখন শরিকদের ভুলে যায়।
মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসন থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০১৮ সালে তিনি ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। এ আসনে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। ২০১৮ সালে নাগরিক ঐক্যকে চারটি আসন ছেড়েছিল বিএনপি। এবার শুধু মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আসন দিতে রাজি হয়েছে। 
তবে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে বগুড়া-২ ছাড়তে রাজি নন। তারা নাগরিক ঐক্যের নির্বাচনী কার্যক্রমে হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। 
২০১৮ সালে বিএনপি শরিকদের ৫৮ আসন ছেড়েছিল বিএনপি। এর মধ্যে চারটি পেয়েছিল জেএসডি। এবার দলটিকে শুধু লক্ষ্মীপুর-৪ আসন ছাড়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে এখনও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী তানিয়া রবের জন্য আসনটি নিশ্চিত নয়। এখানেও বিএনপি নেতাকর্মীরা জেএসডিকে কোনো সহায়তা করছে না, বরং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তানিয়া রবের। যদিও গত বছরের অক্টোবরে কেন্দ্রীয় বিএনপি স্থানীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জেএসডিকে সহায়তা করতে বলেছিল। 
কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে চিঠি পেয়েছিলেন ১২ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। তিনি নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ওই আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এতে ক্ষুব্ধ হুদা নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। পরে অবশ্য তা স্থগিত করেন। 

জামায়াতেও টানাপোড়েন
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করতে চাওয়া দলগুলোর সঙ্গেও আসন নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। সাতটি দল ইতোমধ্যে জামায়াত আমির শফিকুর রহমানকে নিজ নিজ দলের প্রার্থী তালিকা দিয়েছে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন ১৩০ আসনের প্রার্থী তালিকা দিয়েছে। মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ৫০ আসনের তালিকা দিয়েছে। বিডিপি বাদে অন্যান্য দলও ১০ থেকে ২০টি করে আসনের তালিকা দিয়েছে। 
আট দলের সূত্র জানিয়েছে, জামায়াত খুব বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। কারণ সাত দলের বাইরেও এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দলকে নিজের পক্ষে টানার চেষ্টা করছে তারা। সবমিলিয়ে ৬০-৭০টি আসন ছাড়তে চায় দলটি। তবে জামায়াত জোটেরই একটি দল ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অন্তত ২৫টি আসন তাদের দিতে হবে। 
আট দলের সমন্বয়ক এবং জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ডা. হামিদুর রহমান আযাদ সমকালকে বলেন, আজ সোমবার আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু হবে। যেখানে যে দলের প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা বেশি, সেখানে সেই দল নির্বাচন করবে। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী যত দল আছে, সবার সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে আগ্রহী জামায়াত।

এনসিপির জোট কোন দিকে যাবে
এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট এককভাবে ৩০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বললেও এ জোট শেষ পর্যন্ত বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যেতে পারে বলে আলোচনা আছে। 
নতুন জোটের সূত্র জানিয়েছে, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদকে জোটভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। আসন বণ্টন নিয়ে টানাপোড়েনে বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে আসা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জামায়াতের সঙ্গে যেতে রাজি নয়। বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশিত আসন না পেলে জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ আরও কয়েকটি দল এনসিপির সঙ্গে আসতে রাজি। তবে তারা জামায়াতের সঙ্গে জোটে রাজি নয়। গণঅধিকার পরিষদকে দুটি আসন ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে বিএনপি। দলটি আরও কয়েকটি আসন চায়। না পেলে দলটি এনসিপির সঙ্গে আসতে পারে বলে সূত্র জানায়। 
সংস্কারের বিষয়ে জামায়াতের কাছাকাছি অবস্থান এনসিপির। গণভোটে দুটি দলই সরাসরি হ্যাঁ ভোটের পক্ষে। এনসিপির আহ্বায়ক এবং নতুন জোটের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যেসব দল সংস্কারের পক্ষে, তারা সবাই গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে আসতে পারে। 

বাকিরা কী করবে
শেখ হাসিনার পতনের পর চাপে পড়েছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জেপি, আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের মিত্র দলগুলো। মঞ্জু-আনিসের নেতৃত্বে আজ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট আত্মপ্রকাশ করতে পারে। সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও এ দলগুলো এখন বিএনপির সুরে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। 
জি এম কাদেরের জাপাকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে নির্বাচনে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছে জামায়াত, এনসিপি। তবে জাপার (আনিস) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার সমকালকে বলেন, তাদের নতুন জোট নির্বাচনে অংশ নেবে। 
এই জোটের সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সাবেক মিত্ররা মিলে রাজনৈতিক পরিসর তৈরির জন্য এক হয়েছে। তাদের আশা, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ভোট পেয়ে নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারবে। না পারলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে অন্তত রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে।
বামপন্থিদের গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ভাবনা সম্পর্কে সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন সমকালকে বলেন, তারা গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সিপিবি ১৩০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই করেছে। বাকি আসনে তাদের শরিক দলের প্রার্থী থাকবে।