Image description

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর ভোটাধিকার ফিরে পেতে যাচ্ছে দেশের মানুষ। দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা করবে তফসিল এবং ফেব্রুয়ারির প্রধমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে বহুল কাক্সিক্ষত নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা ও প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিও ইতোমধ্যে দুই দফায় ২৭২টি (প্রথম দফায় ২৩৬টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৩৬টি) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয় দফায় ৩৬টি আসন ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির মিত্র দলগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।

বিশেষ করে বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে যারা বিএনপির সঙ্গে জোট এবং যুগপৎ আন্দোলন চালিয়েছেন তাদের অনেকের আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণার কারণে সম্পর্কের টানাপড়েন, বিশ্বাস ও আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শরিকরা এখনো বিশ্বাস করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদেরকে সঙ্গে যে অঙ্গীকার করেছেন সেটি তিনি রক্ষা করবেন এবং দীর্ঘদিনের রাজপথের সম্পর্কও অটুট থাকবে। তবে দেশে থাকা বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা ভোটের মাঠে প্রভাব নেই এমন শরিকদের আসন ছাড়তে নারাজ। তারা মনে করেন, এমন নেতাদের আসন ছাড়লে সেটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যাবে।

বিএনপি নেতাদের এই মনোভাবের সমালোচনা করে শরিক দলের একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি কি জোটের যে কয়টি আসন ছেড়ে দেবে সেগুলোর উপর জয়-পরাজয় নির্ভর করছে। বাকি আসনগুলোতে যে দলীয় প্রার্থী দেয়া হচ্ছে তাদের ওপর কি কোনো ভরসা নেই। তারা মিলে কি ১৫১ আসন পাবে না? নাকি জোটের আসনগুলো মিলেই তারা ১৫১ আসন পাবে মনে করছে?

নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭টি আসনের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে। পরের দিন মাদারীপুর-১ আসনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। এরপর ৪ ডিসেম্বর আরো ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা রাখা হয়েছে ২৮টি।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, প্রথমে দলটি শরিকদের জন্য অর্ধশতাধিক আসন ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও এখন সেখান থেকে সরে এসেছেন দেশে থাকা দলটির শীর্ষ নেতারা। তারা মনে বলছেন, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের কারণে দলটি ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এই সংশোধনী অনুযায়ী, জোটের প্রার্থী হলেও সবাইকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে, জোটের বড় দলের প্রতীকে নয়। এতে শরিকদের প্রার্থী দিলে আসন হারানোর আশঙ্কা রয়েছে মনে করছেন তারা। এছাড়া জোটের যারা প্রার্থী রয়েছেন মাঠে তাদের অবস্থান শক্ত না, নিশ্চিত পরাজয় জেনে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চান না তারা।

২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পরও শরিকদের জন্য কতটি আসন ছেড়ে দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো তাদের কাছে সুস্পষ্ট করছে না বিএনপি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলনে থাকা প্রায় দুই ডজন সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বিএনপি তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখছে না এবং তারা একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এমনকি প্রার্থী ঘোষণার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করেনি।

দ্বিতীয় দফার তালিকায় ইতোমধ্যে শরিকদের কয়েকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে নড়াইল-২, যেখানে প্রচারণা চালাচ্ছিন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনসিপির চেয়ারম্যান ড. ফারিদুজ্জামান ফরহাদ। ২০১৮ সালে এই আসন থেকেই তিনি ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসন থেকে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ধানের শীষের প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। এবার তিনি ঝালকাঠি-১ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু গত ৪ ডিসেম্বর এই আসনে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। এই আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রথম দফাতেই সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকনের কুষ্টিয়া-২ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করে বিএনপি।

শরিকদের অন্ধকারে রেখে প্রার্থী ঘোষণা মেনে নিতে পারছে না জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। বিষয়টি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে গতকালই বৈঠক করেন জোটের নেতারা। তারা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান না হলে পরবর্তীতে তারা করণীয় ঠিক করবেন।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমরা যারা বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে একসঙ্গে ছিলাম তাদেরকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একসাথে নির্বাচন করব এবং জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু এখন দেখছি তার উল্টো। আমাদের সঙ্গে কোনো ধরণের আলাপ-আলোচনা ছাড়াই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য আমরা জোটের নেতৃবৃন্দ একত্রে বসেছিলাম। আমরা বিএনপির কাছে সময় চেয়েছি, তারা কি জানায় সেটির উপর নির্ভর করবে আমরা পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

প্রার্থী ঘোষণার পরদিনই বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবসান ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। দলের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে তিনি বলেন, ২০০৬ সাল থেকে বিএনপির সমমনা জোট, ১৮ দল, পরে ২০ দলীয় জোট এবং যুগপৎ আন্দোলনে ঘনিষ্ঠ শরিক হিসেবে দায়িত্বশীল, ত্যাগী ও আদর্শিক ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। রাজপথের যুগপৎ আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি কর্মসূচিতে বিএনপির পাশে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিএনপি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ভ্রাতৃত্ব, যৌথ সংগ্রাম ও মিত্রতার সম্পর্ককে অবজ্ঞা করেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমান ‘চিহ্নিত চাঁদাবাজ, হত্যা মামলার আসামি, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের’ মনোনয়ন দিয়েছেন। এসব মনোনয়নকে তারা ‘টাকার বিনিময়ের মনোনয়ন বাণিজ্য’। এভাবে বিএনপি নিজের ‘নৈতিক নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ’ করেছে এবং ‘রাজনৈতিক চরিত্রকে দুর্বল’ করেছে। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়ার কঠিন সময়ে বিএনপি মিত্রদের পাশে রাখার পরিবর্তে ধারাবাহিকভাবে দূরে ঠেলে দিয়েছে। রাজনৈতিক অমর্যাদা ও অকৃতজ্ঞতার এই আচরণ তাদের মতে ‘বেদনাদায়ক নজির’ হয়ে থাকবে।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে আমাকে হত্যা করেছে। আমি যে আসনে নির্বাচন করতে চেয়েছি সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে তখন পর্যন্ত আমি জানি না। আমার সঙ্গে আলোচনা বা জানানোর প্রয়োজনটুকু পর্যন্ত মনে করেনি বিএনপি।
প্রার্থী ঘোষণার ফলে জোটের সাথে বিএনপির সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যদিও আমরা সেটি চাই না। এ জন্য আমরা ধৈর্য্য ধরতে চাই। আলোচনা হবে কি-না জানতে চাইলে ১২ দলীয় জোটের এই নেতা বলেন, প্রার্থী ঘোষণার আগে আলোচনার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু বিএনপি সেটি মনে করেনি। এখানে আমাদের বলার কি আছে?

নিজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তারেক রহমানকে আমার নেতা হিসেবে মেনেছি, এখনো মানতে চাই। যদি অন্য কোনো পথ খোলা না থাকে প্রয়োজনে রাজনীতি ছেড়ে দেবো তবুও অন্য কিছু করা সম্ভব না।
তবে বিএনপির এই অবস্থানের সমালোচনা করে এহসানুল হুদা বলেন, মনোনয়ন নিয়ে বড় ধরনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য হয়েছে। বিএনপি যা করছে এটি নিয়ে তাদের ইমেজ সংকট সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান জোটের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, যারা একসঙ্গে আন্দোলনে ছিলেন তাদেরকে নিয়ে নির্বাচন ও সরকার গঠন করবেন। কিন্তু তিনি যদি সেই প্রতিশ্রুতি না রাখেন, তাহলে জাতির সঙ্গে দেয়া প্রতিশ্রুতি কিভাবে রক্ষা করবেন? মানুষ প্রশ্ন তুলবে।

এ নিয়ে আলেম নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। একজন জনপ্রিয় আলেম রাজনীতিবিদ বলেন, বিএনপির হাইকমান্ড থেকে বারবার তাকে বলা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ ও প্রচারণা চালাতে। তিনি এখন পর্যন্ত নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধানের শীষে নির্বাচন করতে আগ্রহী অন্যান্য আলেম প্রার্থীও একইভাবে যার যার নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির একাংশ, ইসলামী ঐক্য জোটের দুই অংশের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে খুব সক্রিয়। কিন্তু বিএনপির তাদের আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে আলেম সমাজের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে জামায়াতের নেতৃত্বে যখন বেশ কয়েকটি দল জোট গঠন করে ইসলামের নামে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার-তৎপরতা চালাচ্ছে তখন নির্বাচনের আগেই আলেমদের সমর্থন হারালে রাজনৈতিক ময়দানে বিএনপি আরো বেকায়দায় পড়তে পারে। বিএনপির হাইকমান্ড যদি মনে করে, আলেমদের কাছে ভিড়িয়ে ব্যবহার করে সুযোগ বুঝে ছুড়ে ফেলবে তাহলে সেটি গুরুতর রাজনৈতিক ভুল হবে। রাজনৈতিক বিশ্বাসভঙ্গের পরিণতি শুভ হয় না। আলেমদের সমর্থন ধরে রাখতে হলে সংসদ নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে বিএনপিকে। এক্ষেত্রে বিএনপি যত ঢিলেমি করবে, আলেমদের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্কে তত ফাটল ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। আলেমরা বিএনপির রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির অন্যতম ভিত হতে পারে, যেমনটি ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে হয়েছিল।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অবশ্য মনে করেন, এখনো আলোচনার জায়গা রয়েছে।
নির্বাচনী জোট ও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা এখনো শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সংলাপ-আলোচনা সবসময়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। আলোচনা চলবে, সংলাপ চলবে।

দলটির সিনিয়র নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনে জোট, প্রার্থী ও মনোনয়ন নিয়ে এসব সমস্যা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তিনি বলেন, আমাদের একটি কমিটি এসব নিয়ে কাজ করছে। ধীরে ধীরে এসব সমস্যা কেটে যাবে। সবাইকে নিয়েই বিএনপি সামনের দিকে অগ্রসর হবে।

শরিকদের জন্য যেসব আসন মনে করা হচ্ছে : নীলফামারী-১ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি মনোনয়নপ্রত্যাশী। বগুড়া-২ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ঝিনাইদহ-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ প্রধান, পটুয়াখালী-৩ আসনে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর, পিরোজপুর-১ আসনে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ময়মনসিংহ-১০ আসনে ইসলামী দলের প্রার্থী, ঢাকা-১৩ আসনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-১৭ আসনটি খালি রাখা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের জন্য। শরিকদের জন্য বিবেচনায় থাকা অন্যান্য আসনের মধ্যে আছে, নারায়ণগঞ্জ-৪, সিলেট-৫, লক্ষ্মীপুর-১ ও লক্ষ্মীপুর-৪, চট্টগ্রাম-১৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেতা জুনায়েদ আল হাবিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এবং কুমিল্লা-৭ আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ মনোনয়ন পেতে পারেন।