আগামী জানুয়ারি থেকে বেতন কমিশনের (পে কমিশন) সুপারিশ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করেছে গণকর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। সমাবেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আবদুল গণি রোডের (সচিবালয় সড়ক) নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, এই সংগঠনের সমন্বয়ে ১২৪টি শাখা রয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আজিজের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব বদরুল আলম সবুজের সঞ্চালনায় সমাবেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শ্রমিক কর্মচারী নেতারাসহ কয়েক হাজার কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের নীতি-নির্ধারণী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান আজাদ বলেন, ‘জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচিসহ আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সমাবেশে মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো, আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি; টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল; ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত রেশন প্রদান; আউটসোর্সিং নিয়োগপ্রথা বাতিল এবং আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারা মোতাবেক সব দপ্তরের কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে।
সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।