জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জনগণ এখন বস্তা পচা, দুর্নীতিযুক্ত রাজনীতি আর চায় না। তিনি দাবি করেন, তার দলের নেতাদের জনগণের সম্পদ চুরি করা, চাঁদাবাজি বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণরুম কায়েম করে টর্চার সেল গঠনের মতো কোনো দুর্নীতির অভিজ্ঞতা নেই। তার মতে, যারা জাতির বিভাজন সৃষ্টি করে, তারা জাতির দুশমন।
আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় আয়োজিত যুব-ছাত্র ও নাগরিক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর।
জামায়াত আমির বলেন, তার দলের কর্মীদের ওপর জনগণের আস্থা রাখা উচিত, কারণ তারা দুর্নীতিমুক্ত। তিনি একাধিকবার জোর দিয়ে বলেন, জনগণের সম্পদ চুরি বা দলীয় কর্মীদের দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিজ্ঞতা তাদের নেই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কিছু লোক প্রোপাগান্ডা চালায়, সরকার পরিচালনায় আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। কোন অভিজ্ঞতা নাই জানেন, জনগণের সম্পদ চুরি করার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। দলীয় কর্মীদেরকে দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গণরুম কায়েম করে টর্চার সেল গঠনের অভিজ্ঞতা আমাদের নেই, সর্ব পর্যায়ে মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত দুর্নীতি করার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই।’
বক্তব্যে জামায়াত আমির রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর জোর দেন। তিনি ঘোষণা করেন, যদি তার দল নির্বাচিত হয়, তবে তারা সব রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানাবেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়েই দেশ গড়বেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে কিছু দল জামায়াতকে বাদ দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ার কথা বলেছে। তাদেরকে বিনয়ের সঙ্গে বলব, জনগণ যদি আমাদের নির্বাচিত করে, তবে আমরা আপনাদেরকেও বাদ দেব না। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা দেশ গড়ব।
জামায়াত আমির দেশকে বিভক্ত করার রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘জাতিকে যারা বিভক্ত করে তারা জাতির দুশমন। আমরা ওই দুশমনের রাজনীতির চাষ আর বাংলাদেশে হতে দেব না।’
জামায়াত আমির অতীতে সরকারের অংশীদার থাকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমরা পাঁচ বছরের জন্য সরকারের ছোট্ট অংশীদার ছিলাম, ২০০১-২০০৬। ওই সময় যারা দুর্নীতিবাজ এবং যারা দেশের কল্যাণ চান না, তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তারা আশঙ্কা করেছিলেন, জামায়াত যদি এভাবে সুশাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে, তবে সমাজে বিভাজনের রাজনীতির ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলস্বরূপ, যেকোনো মূল্যে জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে অস্তিত্বহীন করে দিতে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন। সাড়ে ১৫ বছর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে এমন কোনো পদক্ষেপ নেই, যা তারা নেননি।