বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনীত এমপি প্রার্থী শিশির মনির বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে আমার নির্বাচনি আসনে (দিরাই-শাল্লায়) প্রতি মাসে গণপার্লামেন্ট করব। যাতে ইউএনও-ওসিসহ সব কর্মকর্তাদের আমরা জনগণের মুখোমুখি করতে পারি।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের কাজির পয়েন্টের একটি রেস্টুরেন্টে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, আমিও জনগণের মুখোমুখি হব। তাদের কী সমস্যা আছে, আমরা শুনব। আমরা ভুল করলে, কোনো কাজে ঘাটতি থাকলে দুঃখ প্রকাশ করব।
তিনি বলেন, আমরা সিস্টেম পরিবর্তন করতে চাই। এ সিস্টেমের কারণেই আমাদের দেশে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সিস্টেম ভালো হলে, অসৎ মানুষও অপেক্ষাকৃত ভালো হতে বাধ্য।
শিশির মনির বলেন, আসন্ন গণভোটের ফলাফল ‘হ্যাঁ’ এর দিকেই যাবে বলে আমি মনে করি। কারণ ‘না’ এর পক্ষে প্রচারণা চালানো অনেক জটিল। কোনো রাজনৈতিক দল যদি ‘না’ এর পক্ষে প্রচারণা চালায় তবে তার প্রার্থিতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ ‘হ্যাঁ’ কতগুলো সংস্কার, কতগুলো ইতিবাচক কাজ, কতগুলো নতুনত্ব। ‘না’ মানে হলো পেছনে যাওয়া। আমার মনে হয় না, নতুন প্রজন্মের মানুষ পেছনে যেতে চায়। তাদের সামনে যাওয়ার বিষয়টি অধিকতর যুক্তিযুক্ত। আমার বিবেচনায় ‘হ্যাঁ’ ভালো অবস্থানে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যদি আমরা বলি- আমাদের দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেন, আবার ‘না’ এর পক্ষে ভোট দেন। এটা ডিফিকাল্ট। একইভাবে কেউ যদি বলেন, ধানের শীষে ভোট দেন, আবার ‘না’ এর পক্ষে ভোট দেন, এটাও ডিফিকাল্ট। ইতিবাচক-নেতিবাচক একসঙ্গে হতে পারে না। এটা সাংঘর্ষিক। ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে প্রচারণার জন্য সরকার একটি টোলস নিয়ে আসছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দীন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, নায়েবে আমির মুমতাজুল হাসান আবেদ প্রমুখ।