ভয়াবহ ভূমিকম্পে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ শোক প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলেন, ‘২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে রাজধানীর বংশালের কসাইটুলীতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফিসহ ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে কমপক্ষে দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা এই মর্মান্তিক হতাহতের ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ঘনবসতি, সংকীর্ণ রাস্তা, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন, মাটির নরম স্তর এবং বিপুলসংখ্যক অননুমোদিত ও দুর্বল ভবন—সকল বিবেচনায় ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ নগরীগুলোর একটি। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারই সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ধারাবাহিকভাবে সীমাহীন উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে আসছে। আজকের মধ্যম মাত্রার কম্পনেও যে আতঙ্ক ও ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য দেখা গেছে—তা আসন্ন বিপদের সতর্ক সংকেত। এমতাবস্থায় অবিলম্বে ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর হালনাগাদ তালিকা তৈরি করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, বিল্ডিং কোড মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না, তা কঠোরভাবে তদারকি করা এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষানিরীক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়াও উদ্ধার ও জরুরি সাড়া প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনসচেতনতা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ জাতীয় ভূমিকম্প-প্রস্তুতি পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘আমরা নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহত ও নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এছাড়া আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত এবং নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’