Image description

‘গত ১ মাসে যতজনের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই বলেছে জামায়াতকে ভোট দেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে নিজ ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

ফেসবুক পোস্টে মুনতাসির মাহমুদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসতেছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। আমি মাঠের রাজনীতি করি, রাজনীতি শিখেছি রাজপথ থেকে। মানুষের পালস বুঝি, এসি রুমে বসে রাজনীতি করি না। সেজন্য বুঝে শুনেই এই কথাটা বললাম। 

গত ১ মাসে আশেপাশে যতজনের সাথে কথা বলেছি, সবাই বলেছে জামাতকে ভোট দিবে। সবাই মানে সবাই। সাধারণ ভোটার কেউ বিএনপি বা এনসিপির কথা বলে না। রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সবজিওয়ালা, চাকুরিজীবী থেকে ব্যবসায়ী সবার একটাই কথা, বিএনপি আওয়ামীলীগ সব দেখছি, এবার জামাতকে দেখতে চাই, ইসলামী দলকে ভোট দিয়ে দেখি তারা কি করে।” 

একবিন্দু বানানো কথা না। এটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটি, মাঠের বাস্তবতা। কিন্ত জামাতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, পেশীশক্তি ঠেকানো, ভোট কেন্দ্র দখল এবং সন্ত্রাস ঠেকানো। এই নির্বাচনে ব্যাপক ভায়োলেন্স হতে পারে, পেশীশক্তি দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল ছাড়া বিএনপির উপায় নাই, কারণ বেশিরভাগ আসনে মানুষ তাদের চাদাবাজি এবং বিভিন্ন অপকর্মে বিরক্ত। বিএনপির এই অবস্থা দেশের জন্য ভালো না, আমি মোটেও খুশি না।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি তাদের দলে থাকা তরুণ নেতৃত্ব, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়াকে ধারণ করা তরুণদের সামনে নিয়ে না আসে, তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত। যতই তাচ্ছিল্য করেন না কেন, আরেকটা “ডাকসু” লোডিং, যদি এখনো সতর্ক না হন। এনসিপি সুষ্টু ভোটে কোনো আসন পাবে না। তবে জামাতের উচিত, তাসনীম জারা, ডা: মাহমুদা মিতু আর হাসনাতকে ছেড়ে দেয়া, এই ৩ জন অন্তত সংসদে যাওয়া দরকার। বাকিদের অটো পাশ দিলেও ফেইল করবে। 

 

আমার ঢাকা ১২ আসনে ২ ছাত্র উপদেষ্টা নির্বাচন করার আগ্রহ দেখিয়েছিল, আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। আসিফ অথবা মাহফুজ যে কেউ যদি ঢাকা ১২ তে নির্বাচন করে, তাহলে আমার জয় নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ, এখনো তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ রইলো। জুলাই গাদ্দারদের সাথে আমি খেলতে মজা পাই৷ কিন্ত শুনেছি, আমার ভয়ে ইতিমধ্যে তারা গতিপথ পরিবর্তন করেছে। 

যাই হোক, ভোট সুষ্ঠু হলে জামাত-শিবির ক্ষমতায় আসতেছে এটা নিশ্চিত। কিন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে তারা কতটুকু প্রস্তুত, সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। জনসমর্থনের পাশাপাশি তাদের প্রস্তত থাকতে হবে, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ভোট কেন্দ্র রক্ষা করার এবং ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং রুখে দেয়ার। আল্লাহ ভরসা।