জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আপনারা নিয়মিত সমালোচনা করুন, যেন এখন থেকে আমরা জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে বড় হতে পারি। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বট তলায় ‘কমল মেডিএইড’ আয়োজিত এক ফ্রী মেডিকেল ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্প অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাবি শাখা ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও জুলাই শহীদ পরিবার সদস্য মীর স্নিগ্ধ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা অবস্থায় আমাদের স্বাস্থ্যে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা আসলে বুঝা যায় না। হল থেকে বের হলে বুঝা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো স্বাস্থ্যের কি অপূরণীয় ক্ষতি করে দেয়। পরবর্তীতে আমাদের চিকিৎসার ওপর থাকতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১০৪ বছর হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ফার্মেসী নেই। জরুরি প্রয়োজনে ঔষধ আনতে আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেতে হয়।
কমল মেডি এইড-এর এই আয়োজনে তানভীর বারী হামীমকে সাধুবাদ জানিয়ে ও ঢাবির ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী তরুণকে স্বরণ করে হাসনাত বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের কাম্পেইনের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাম্পেইন চালু করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা কেউ শুনতে চায় না। সবাই মনে করে শিক্ষার্থীরা খুব বেশি দায়িত্বশীল। তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে এবং তাদেরই সব দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যদি কাজ করা যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ উপশমের কারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, হামীম এবং আমরা একই প্রজন্মের মানুষ, আমাদের ইতিবাচক কাজগুলো অব্যাহত থাকুক। একই সঙ্গে আপনাদের সমালোচনা এবং প্রশংসাগুলো অব্যাহত থাকুক। যাতে করে আমরা এখন থেকে জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে বড় হই। আমাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সমৃদ্ধি একই সঙ্গে আমরা জাতীয় স্বাস্থ্য সমৃদ্ধির দিকে ধাবিত হবো।