গতবছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর পর নতুন করে চাঙ্গা হতে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু চাঙ্গা হতে গিয়ে বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপির কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়ায় দলটির প্রায় সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মীর প্রাথমিক সদস্যপদসহ সবধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
এর আগে অবশ্য দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে আওয়ামী লীগ আমলের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় অনেক নেতাকেই দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। সেইসব নেতাদের এখন আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গত অক্টোবর থেকে এই ফিরিয়ে নেওয়া কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে কয়েকশ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দলটি। ধারাবাহিকভাবে আরও অনেকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাদের শিগগিরই দলে ফেরানো হবে না বলেও জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ জনের প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। ওই তালিকায় অনেকে রয়েছেন যারা ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরে নানা অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছিলেন। তাদের আবার দলে ফিরিয়ে এনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দলের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে বলছেন, মনোনয়ন যদি দেবেন তাহলে বহিষ্কার করেছিলেন কেন। আবার এমনও দেখা গেছে, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অপরাধে বহিষ্কৃত নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করেও তাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুর রউফ চেয়ারম্যান। দলের সিন্ধান্ত না মেনে জেলার আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ৩ নভেম্বরের প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের কারণে কারণ দর্শানো নোটিশ পাওয়া আলোচিত নেতা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। চট্টগ্রাম-১ আসন (মিরশরাই) নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন বাচ্চুকে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রুহুল আমিন দুলালকে। রংপুর-২ (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় মো. আলী সরকারকে।
খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলায় নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত দলের ২৩৭ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। চট্টগ্রামের পটিয়া আসনে মোহাম্মদ এনামুল হক এনামকে মনোনয়ন দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীরাও তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
জানা গেছে, দেশের বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে পরিচিত এনামুল হক এনামের বিরুদ্ধে অতীতে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে চট্টগ্রামের কালুরঘাট শিল্প এলাকায় মীর গ্রুপের মালিকানাধীন একটি গুদাম থেকে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির দুই নেতা দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুই মাস পর সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এস আলম পরিবারের তদবিরেই এনামুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এরই মধ্যে যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- দিরাই পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জালাল মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মখলিছুর রহমান লাল মিয়া, সাবেক স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক রতন কুমার দাস, করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ দাস, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সইদুর রহমান তালুকদার, মো. নাছির উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জুনেদ মিয়া, চরনারচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তপু রায়হান, ভাটিপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক এহিয়া আহমদ লিটন।
২৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য সাত নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পাওয়া বিএনপির সাত নেতা হলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল উদ্দিন সরকার পাপ্পু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলাল, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট, রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং সাবেক সদস্য মো. আলি সরকার।
এদিকে ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী এবং সৈয়দপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদ আরফান সরকার রানার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ৯ নভেম্বর সিলেট মহানগর বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলটি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তারা দলের কাছে লিখিত আবেদন করলে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
১৩ নভেম্বর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক- মো. ইকবাল হোসেন, গাজীপুর মহানগরের অন্তর্গত গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন, দিনাজপুর জেলাধীন বিরল উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. সাদেক আলী, সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মোসা. ফিরোজা বেগম (সোনা), হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম শাহিন, ভোলা জেলাধীন তজুমদ্দিন উপজেলার ৪ নম্বর চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হাওলাদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. বাবর আলী বিশ্বাস, ভোলাহাট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম আজম, নোয়াখালী জেলাধীন সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের সভাপতি বেলাল হোসেন সুমন, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. জামাল উদ্দিন গাজী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাজহারুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হলো।’
এ ছাড়া, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য হবিগঞ্জ জেলাধীন বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মুজিবুল হোসেন মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রাকিব মাখনের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
১৫ নভেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে পদ ফিরে পাওয়া নেতারা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলাধীন লৌহজং উপজেলার অন্তর্গত কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি-মো. কাউসার তালুকদার, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক-মো. আনোয়ার হোসেন জনি, দিঘীরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি-মো. শামীম মোল্লা ও টঙ্গিবাড়ি উপজেলার অন্তর্গত আড়িয়ল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুক।
একই দিন রাজশাহী জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর অপর এক চিঠিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
১৭ নভেম্বর দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, মহানগর বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, সাবেক সদস্য- মো. আবুল হাশেম, খায়রুল আলম, মো. মনির হোসেন (মাটি মুনির), গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনির, বাসন থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসাসহ স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। একই দিন বরিশাল, দিনাজপুর, কুমিল্লা , সুনামগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ছাতক উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির এই বহিষ্কার আর প্রত্যাহার পুরোনো খেলা। তাদের দলের যেসব নেতাকর্মী শৃঙ্খলাবিরোধী নানা অপকর্ম করে তখন সেটা মিডিয়ায় এলে লোক দেখানো বহিষ্কার করা হয়। কিছুদিন পরে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়। এতে ওই নেতারা আরও উৎসাহী হয়ে অপকর্ম করতে থাকেন। এটা জনগণের সঙ্গে এক ধরণের প্রতারণা।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সারাবাংলাকে বলেন, ‘মানুষ যখন অন্যায় করে তখন তাকে সাজা দেওয়ার নিয়ম আছে। আবার সাজার মেয়াদ যখন শেষ হয়, তখন ছাড়া পায়। যেসকল দলীয় নেতাকর্মী অন্যায় করেছিল, তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা দল ছেড়ে যায়নি, সঠিক পথে চলেছে। সামনে অন্যায় করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেজন্য তাদের ফেরানো হচ্ছে। এতে দোষের কিছু নাই।’