আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পর দলটির ভবিষ্যৎ রাজনীতি কী হবে-দেশের রাজনীতিতে এখন এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দলটির সমর্থকদের পাশাপাশি সুধী সমাজের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কি? দলটি কি টিকে থাকবে? থাকলে কার নেতৃত্বে টিকে থাকবে সে প্রশ্নও সামনে আসতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। কারণ শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ যাই বলুক না কেন, এটাই এখন বাস্তবতা। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনকানুন মেনেই এ বিচার সম্পন্ন হয়েছে। যদিও ভারতে পলাতক থাকায় হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পথে অনেক বাধা রয়েছে; কিন্তু দলটির রাজনীতি কার নেতৃত্বে চলবে, নাকি এখনকার মতো দুর্বল অবস্থায় টিকে থাকবে সে প্রশ্নে নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। কেউ বলছেন, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দেওয়া হতে পারে আপৎকালীন নেতৃত্ব। পাশাপাশি দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি হিসাবে সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীর নাম নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা আছে। এর বাইরে কেউ কেউ কারাগারে থাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর কথাও বলছেন। তবে এই সবকিছুই ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। তিনি সবুজ সংকেত না দিলে দলের সামনে আসতে কেউ রাজি হবেন না।
বাংলাদেশের রাজনীতি এখনো উত্তরাধিকারের রাজনীতি (ডাইনাস্টি পলিটিক্স) থেকে বের হতে পারেনি। এক-এগারোর সময় শেখ হাসিনা হাসিনা ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ‘সংস্কারপন্থি’ হিসাবে পরিচিত হয়েছিলেন দলটির বেশকিছু নেতা। পরবর্তীকালে দল দুটির শীর্ষ নেতৃত্বের রোষানলে পড়ে তাদের অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংস হয়েছিল বলে মনে করা হয় হয়।
তবে হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পর পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা ফিরতে পারবেন কিনা তা ভবিষ্যৎই বলবে। তাদের কারও মতে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। আবার কেউ বলছেন, যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা যেন আওয়ামী লীগের মতো ভুল না করেন। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সরকার ভুল করলে হাসিনার বিষয়টি আবার সামনে আসতে পারে বলে তারা মনে করেন। মৃত্যুদণ্ডের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) এক বিবৃতিতে বলেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন খুব কম। একই সঙ্গে তিনি নেতৃত্বে থাকলে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ময়দানে ফেরা সহজ হবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। একই ধরনের মত দিয়েছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। তাদের মতে, অপরাধীদের বিচার হবেই। তবে দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে হলে অপরাধের দায় ও ভুল স্বীকার করে ‘ক্লিন ইমেজ’র নতুন নেতৃত্ব সামনে আনতে হবে। ‘রি-কনসিলিয়েশন’ বা রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে এটা হতে পারে বলেও মনে করেন তারা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ের গবেষক আলতাফ পারভেজ যুগান্তরকে বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের দায় আছে, জবাবদিহিতার ব্যাপার আছে। এখন তাদের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে হলে সেগুলোর বিষয়ে বক্তব্য লাগবে। দায়িত্ব নিতে হবে, জবাব দিতে হবে। বর্তমান সরকার বা ভবিষ্যৎ সরকার হোক, শহীদ পরিবারগুলোর দিক থেকে তো বিচারের দাবি থাকবেই। সেই বিচার তো কোনো ভাবে বন্ধ করা যাবে না। আবার রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের তো সবাই অপরাধী ছিল না। ফলে রাজনৈতিক দল হিসাবে বা আওয়ামী লীগের যারা নির্দোষ কর্মী, তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে হবে। তার মানে বিচারও চলতে হবে, আবার যারা নির্দোষ তাদের রাজনৈতিকভাবে কাজকর্ম করার সুযোগও থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার চলাকালীন সময়ের জন্য সরকার তো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ফলে বর্তমান সরকার বা ভবিষ্যতের সরকারকে আমি বলব একটা ন্যাশনাল রি-কনসিলিয়েশন দরকার। দক্ষিণ আফ্রিকায় যেটা হয়েছিল। বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের পরে নেলসন ম্যান্ডেলা যেটা করেছিলেন যে, অপরাধের বিচারও হবে কিন্তু সমাজে শান্তির লক্ষ্যে যারা নির্দোষ তাদের একটা পুনর্মিলন থাকতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, আমরা যদি ধরেও নিই যে, বিচারে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো না। কিন্তু তারপরও হাসিনা তো মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে ফিরতে পারবেন না। এছাড়া তার বয়সও আর সাপোর্ট করছে না। ফলে হাসিনা নেই। কিন্তু ফিরে আসার জন্য আওয়ামী লীগের যে বাস্তবতাগুলো ছিল, সেটা একই থাকছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রাসঙ্গিক থাকবে। মৃত্যুদণ্ড সেটাকে ইনফ্লুয়েন্স করবে না। তবে নেতৃত্বে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। শেখ হাসিনা নিজেও কিন্তু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমার পরিবারের কাউকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ফলে শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী বা আইভী রহমানের মতো কেউ বা যাদের বিরুদ্ধে খুব একটা অভিযোগ নেই তারা দলের নেতৃত্বে সামনে আসতে পারেন বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি)। রায়ের পর আইসিজির বাংলাদেশবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট থমাস কিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার রায়কে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানানো হবে। কারণ, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বিক্ষোভকারীদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার জন্য তার দায় নিয়ে সন্দেহের অবকাশ খুব কম।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা এখন খুব কম বলে মনে হচ্ছে। তিনি যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি না হচ্ছেন, ততদিন দলটির রাজনীতির ময়দানে ফেরা সহজ হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের আগে তিন-চার দিন পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত করতে পারলেও রায় ঘোষণার সময় দলটির সেই চেষ্টা রাজনৈতিক মাঠে খুব একটা দৃশ্যমান হয়নি। কিন্তু রায়ের আগের কয়েকদিনে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল যে, দেশে অনেক বড় ঘটনা ঘটবে। অনেক সংঘাত হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোর অবস্থান এবং বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে খুব একটা সাহস পাননি। গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে দু-একটা ঘটনা দেখা গেলেও ঢাকাসহ দেশে তাদের প্রভাব ও তৎপরতা ছিল খুবই ক্ষীণ। অনেকের মতে, আওয়ামী লীগের তৎপরতায় বরং দলের মধ্যম ও মাঠপর্যায়ের আরও কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার সুযোগ তৈরি হয়েছে; যারা ৫ আগস্টের পর কোনোমতে টিকে ছিলেন।
পর্যবেক্ষদের মতে, এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয়, বিরোধী দলের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং পলাতক অবস্থায় তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-এই দুই অবস্থায় দলটির শক্তিতে অনেক ফারাক রয়েছে। আগের আওয়ামী লীগের শক্তির সঙ্গে এখনকার শক্তির কোনো মিল পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে এমন একটা আলোচনা আছে যে, আওয়ামী লীগ মানেই আন্দোলনের দল। কিন্তু এবার দলটির সেই শক্তি কিছুটা ক্ষীণ হয়েছে বলে দৃশ্যমান হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, একদিকে দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। কেউ প্রকাশ্যেও আসতে পারছেন না। অন্যদিকে দলীয় সভাপতির মৃত্যুদণ্ডের সাজা হলো। ফলে এই মুহূর্তে তাদের সামনে তেমন কোনো দিকনির্দেশনা নেই। তারা আরও বলেন, দেশের বাইরে বসে শুধু সাক্ষাৎকার দিয়ে এবং ছোটখাটো দু-একটা ঝটিকা মিছিল কিংবা ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে’ ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে রাজনৈতিক তৎপরতা থাকা জরুরি। সে তৎপরতা অবশ্যই বৈধ দলের মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ফলে এ বিষয়ে দলের হাইকমান্ডকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে তারা জানান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দলীয় সভাপতির সাজা হলে তিনি পদে থাকতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। তবে দলটির গঠনতন্ত্রের ২৫ এর (১) এর ক ধারায় বলা আছে, ‘সভাপতি তার অনুপস্থিতিকালের জন্য সভাপতিমণ্ডলীর যে কোনো সদস্যকে সভাপতি কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব প্রদান করিবেন।’ এর আগে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার একাধিক বিদেশ সফরের সময় দলের তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর এক নম্বর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে (বর্তমানে প্রয়াত) ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলনে গঠিত বর্তমান কমিটির কাউকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর এক নম্বর সদস্য ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হলেও তিনি শারীরিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ বলে জানা গেছে। সভাপতিমণ্ডলীর দুই নম্বর সদস্য মতিয়া চৌধুরী গত বছর মারা যান। এর বাইরে দলের অধিকাংশ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয় জেলে নয়তো বিদেশে বা দেশে পলাতক রয়েছেন।
অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এটা শুধু আমার বা আমার পরিবারের বিষয় নয়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্জনের জন্য সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের আলোচনায় প্রথমেই আসছে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম। চব্বিশের ৫ আগস্টের পর তাকে প্রকাশ্যে কোথাও দেখা না গেলেও তিনি সরকারের ‘নজরদারির’ মধ্যেই রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর এসেছে। বিদ্যমান সংবিধান মতে, পরবর্তী সরকারের জন্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াতে তাকে দরকার পড়তে পারে।
শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আলোচনায় আছে ‘ক্লিন ইমেজ’র অধিকারী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আলোচিত নেত্রী নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম। আইভী এখনো জেলে আছেন। কয়েকটি মামলায় সম্প্রতি তার জামিন হলেও নতুন করে আরও চার হত্যাসহ ৫ মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার হলেও পরে জামিন পেয়েছেন। যদিও তিনি রাজনীতিতে এখন নিষ্ক্রিয়। রাজনৈতিক কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। কোথাও কোনো মন্তব্যও করছেন না। তবে সম্প্রতি তার বাসায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক নিয়ে বেশ আলোচনা হয় রাজনৈতিক মহলে।
সাবের হোসেন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত ছাড়া তার দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা কম। শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ, খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বংশধর ছাড়া জাতীয় পার্টি চলবে না-এমন একটি সমর্থনযোগ্য আলোচনা আছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। তবে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পর সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুত ছিল না। দলটির নেতাকর্মীদের জন্যই এটা নতুন এক পরিস্থিতি। ফলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির নেতাকর্মীদের ওপর এ ঘটনা কী প্রভাব ফেলে এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই বা কী দাঁড়ায় সেটিই এখন দেখার বিষয়।