Image description
 

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দীর্ঘ সংগ্রামের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত শেখ হাসিনার রায়কে ‘ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে বিএনপি।

সোমবার রাতে গুলশানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ মন্তব্য আসে। বৈঠক শেষে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ষোল বছরের ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন’ এবং ২০২৪ সালের ছাত্র–গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়। এসময়ে বিরোধী দলের হাজারও নেতাকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হন।

বিএনপি বলছে, ছাত্র–গণঅভ্যুত্থানে জীবনদান, অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ব বরণ করা সহস্রাধিক মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ‘আওয়ামী বাকশালী শাসনের পতন’ ঘটে। এরপরই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে আইনের বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার কারণে কম সাজা দিয়ে পাঁচ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি দাবি করেছে, এ রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা’ হয়েছে। তারা জনগণকে আইনের শাসনের পক্ষে সচেতন থাকার আহ্বান জানায় এবং অন্যান্য মামলার অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও সুবিচার নিশ্চিত করার দাবি তোলে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘ ১৬ বছরের গুম–খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা এবং ২০২৪ সালের ছাত্র–গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নিহত শহীদদের পরিবার এ রায় থেকে আংশিক সান্ত্বনা পাবে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান (ভার্চুয়ালি), নজরুল ইসলাম খান (ভার্চুয়ালি), মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম (ভার্চুয়ালি), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ভার্চুয়ালি) এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন।