Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত সম্ভব কেবল এই রায় দ্রুত কার্যকর করার মাধ্যমেই।

সংগঠনটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পলাতক ও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা এবং অন্য আসামিকে ইন্টারপোলের সহযোগিতা ও বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ঘোষিত রায় চূড়ান্তভাবে কার্যকর করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানোত্তর নতুন বাংলাদেশে এই ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের দীর্ঘদিনের ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য নজির। ২৪-এর জুলাই ছাত্র–জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিবাদী শক্তি ও নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ–সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ–যুবলীগসহ পালিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত যে নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল এই খুনি হাসিনা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, এই ঐতিহাসিক রায় ছাত্র–জনতার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। অবশ্যই এটাও মনে রাখতে হবে, এ রায় কেবল ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠাই নয়; বরং আগামী দিনের জন্য নজিরও বটে। অর্থাৎ জুলাই-উত্তর আগামীর বাংলাদেশে কেউ যেন আর ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে, এই রায় তার আগাম বার্তা।

সংগঠনটি বলছে, কেবল খুনি হাসিনার বিচারই নয়, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে যারা নানাভাবে ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করেছে এবং গত দেড় দশকে বিরোধীমত দমনে যারা গুম–খুন–হামলা–মামলায় জড়িত ছিল, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভূমিকা, দায় ও অপরাধকেও বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে হবে।