Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘আজকের দিনটি বেশি স্পেশাল। কারণ আগামীকাল খুনি হাসিনার রায় হবে। সারা দেশের মানুষ অনেক আনন্দিত যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত ১৬ বছরে গুম, খুন, আয়নাঘর, শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন থেকে শুরু করে সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবে আমাদের ৪০ হাজার ভাইবোনদের গাজি করেছে, আমাদের দুই হাজার ভাইবোনদের শহীদ করেছে, সেই খুনি হাসিনার আগামীকাল রায় হবে এবং সেটি দেশব্যাপী উদযাপন করব আমরা।’

আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর)  চারুকলায় আয়োজিত ‘আদি নববর্ষ’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এমন বক্তব্য দেন।

সাদিক কায়েম বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লব করতে হবে। এই ফ্যাসিস্টরাই বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গত ১৬ বছরে খুনি হাসিনার অবৈধ শাসনকে বৈধতা দিয়েছিল কিছু কালচারাল ফ্যাসিস্টরা।’

তিনি বলেন, ‘আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছি। এই সঙ্গে এই আয়োজনে আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরুদ্ধে আমাদের গান, কবিতা আবৃত্তি, সংস্কৃতি চর্চা, কথা নিয়ে এসেছি। খুনি হাসিনার রায় এবং ফাঁসি এই বাংলায় হবে। ভারত থেকে তাকে এই স্বাধীন বাংলায় আনা হবে এবং ফাঁসি হবে। সেই সঙ্গে তার দোসরদের বিচার ও এই বাংলাদেশে হবে।’

ডাকসুর ভিপি বলেন, ‘বাংলাদেশে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই  প্রতিরোধ গড়তে হবে‌ এবং সমূলে উৎপাটন করতে হবে। যেই জায়গায় সারা দেশের মানুষ এক হয়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দল এক আছে, সব ছাত্রসংগঠন এক আছে সুতরাং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে দেখাতে হবে খুনি হাসিনা কত বড় ফ্যাসিস্ট ছিল, কীভাবে সে গণহত্যা ও শিশু হত্যা করেছে। এভাবে সব গল্প শিল্প ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নিয়ে আসা দরকার।’

সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ কত সুন্দর। সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা। কিন্তু দীর্ঘ ৫৪ বছর আমরা আমাদের সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে কাজে লাগাতে পারিনি নেতৃত্বদানে ব্যর্থতার কারণে। আমাদের এই বাংলাদেশ যদি সারা বিশ্বে নেতৃত্বে দিতে চায় এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে করতে চাই, তাহলে নেতৃত্বের আমূল পরিবর্তন দরকার। প্রতিটি জায়গায় যে সিস্টেম লসগুলো আছে, সিন্ডিকেটগুলো আছে, সেগুলো ভেঙে দিতে হবে। সেই জায়গায় বাংলাদেশের যে তরুণ প্রজন্ম আছে , জুলাইয়ের মাধ্যমে যে প্রজন্মের জন্ম হয়েছে তাদেরকে এখানে নেতৃত্ব দিতে হবে‌।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জুলাইয়ের মাধ্যমে যে প্রজন্মের জন্ম হয়েছে তারা বাংলাদেশের রাজনীতির পেরাডাইম বুঝে। সত্যকে সত্য বলতে শিখে গেছে। আমি বিশ্বাস করি ওই প্রজন্ম‌ই আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্বে দেবে। কেউ যদি নতুন করে ফ্যাসিস্ট হতে চায়, ফ্যাসিবাদী কায়েম করতে চায় তাদের পরিণতি ফ্যাসিস্ট হাসিনার যেমন হয়েছিল তার চেয়ে খারাপ পরিণতি হবে। নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে ধারণ করতে হবে‌।’