আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়তের মহাসম্মেলন হয়েছে। এতে যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘যদি রাষ্ট্রক্ষমতা আমাদের হাতে আসে, সকল দাবি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংসদে আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করব। যারা রাসুল (সা.)-এর পক্ষে নয়, তারা মুসলিম হতে পারে না।’
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার বিষয়ে সবার অবস্থান এক। রাসুল (সা.) শেষ নবী। এই আকিদা ইসলামের সর্বসম্মত বিশ্বাস। জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এ বিষয়ে স্পষ্ট রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
মহাসম্মেলন থেকে ছয় দফা ঘোষণা এবং এক দফা দাবি জানানো হয়। দাবির পক্ষে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত গণস্বাক্ষর, মে ও জুন মাসে স্মারকলিপি প্রদান, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় সম্মেলন এবং ডিসেম্বরে জাতীয় সম্মেলনের বছরব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করা হয়। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এ সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আসা কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করবে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে প্রথমবারের মতো ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন, সেটা বহাল আছে। অনেকে এটা সরানোর চেষ্টা করেছিল, পারেনি।
খতমে নবুয়তের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মঞ্চে উপবিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা, পীরে কামেল, হজরতে উলামায়ে কেরাম, দেশের বুজুর্গানে দ্বীন, যারা আমাদের পরিচালিত করেন, সবাই যদি সহযোগিতা করেন, একসঙ্গে থাকেন তাহলে আজকে যেসব দাবি দেওয়া হয়েছে, সব দাবিদাওয়া বা প্রস্তাবের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি ফজলুর রহমান। খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমির মধুপুরের পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব হানিফ জালন্দরি এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুসআব নাবীল ইবরাহিম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুহাম্মদ আবদুল মালেক প্রমুখ।