গণভোটে চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ উত্তর দেওয়ার বিধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “চারটি প্রশ্নের যেকোনো একটির সঙ্গে দ্বিমত থাকলে ভোটাররা ‘না’ বলবে কোথায়?”
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসুস্থ বেতারশিল্পী আফরোজা নিজামীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের পর তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘৯০ ভাগ মানুষ যদি গণভোটের উদ্দেশ্যই না বোঝে, তাহলে এ প্রক্রিয়া জনগণকে অন্ধকারে রাখার শামিল। মানুষের বোঝার মতো করে প্রশ্নমালা প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারত থেকে অর্থ এনে আওয়ামী লীগ দেশে নাশকতার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। শেখ হাসিনার বিচারের বিষয় আদালতের, আর জনগণ জুলাই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চায়।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে এবং চারটি বিষয়ে একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে হবে।
‘হ্যাঁ’ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে গঠিত হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ, যা ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংস্কার চূড়ান্ত করবে। সংস্কার শেষে দলগুলোর ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
গণভোটের চারটি বিষয়
ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
শীর্ষনিউজ