কক্সবাজার-৪ (উখিয়া–টেকনাফ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকরা এই মিছিল করেন। পরে টেকনাফ পৌরচত্বরে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা সদ্য ঘোষিত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে ‘আওয়ামী-সুবিধাবাদী’ আখ্যা দিয়ে মশাল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে স্লোগান দেন- ‘অবৈধ প্রার্থী মানি না, মানব না’, ‘আমি কে, তুমি কে, আব্দুল্লাহ ভাই, আব্দুল্লাহ ভাই’, ‘জেল-জুলুম কারাগারে আব্দুল্লাহ ভাই, আমরা সবাই তাকে চাই’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপিকে আগলে রাখা ত্যাগী নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে অন্যায়ভাবে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই আসনে আব্দুল্লাহর বিকল্প কোনো প্রার্থী মেনে নেওয়া হবে না।
এসময় তারা শাহজাহান চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করে তরুণ নেতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্র দলের নেতা ইবনে আমিন বলেন,‘দুঃসময় ও দমন-পীড়নের সময় আব্দুল্লাহ ভাই সর্বদা নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। শত মামলায় আইনি সহায়তা, চিকিৎসা খরচ, পারিবারিক সহযোগিতা—সব তিনি ব্যক্তিগতভাবে করেছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে তার সাহসী ভূমিকা সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন,‘যেসব নেতা অতীতে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাদের ইন্ধনে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আব্দুল্লাহ ভাইকে মনোনয়ন থেকে বাদ দিয়েছে।’
মিছিলে অংশ নেওয়া টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম বলেন, ‘তৃণমূলের মতামতের বিরুদ্ধে শাহজাহান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আবদুল্লাহ দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তার শিশুসন্তানকেও রাজনৈতিক কারণে হারিয়েছেন, অথচ তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে এটা কর্মীদের জন্য বেদনাদায়ক।’
বিক্ষোভকারীরা পরে শাপলা চত্ত্বরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক রাস্তায় অবস্থান নেন। এতে শহরে যানজট সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য গত ৪ নভেম্বর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সেখানেই কক্সবাজার-৪ আসনে শাহজাহান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।