Image description
 

গত কয়েক বছরে বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তা ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

 

বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে কোটিপতির সংখ্যা সাংঘাতিক রকমে বেড়েছে। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে বেশি। এটা উদ্বেগের বিষয়।

‘অথচ বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ আরও বেশি দরিদ্র হয়েছে। এই যে উন্নয়ন, এ উন্নয়ন অসম উন্নয়ন। কিছু মানুষ আরও বড়লোক হবে, কিছু মানুষ আরও দরিদ্র হবে। এটা সবার জন্য উন্নয়ন না।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শনের কথা তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়া চেয়েছিলেন সবার জন্য উন্নয়ন। আর সেজন্যই তিনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছিলেন দেশে-বিদেশে, সেজন্য তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যে শিল্পগুলোতে লোকের বেশি কর্মসংস্থান হবে। সেই জন্যই তিনি কৃষিতে উৎপাদনের পাশাপাশি শিল্প উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে নানাভাবে সহযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভা হয়।

‘নির্বাচন: সুযোগ বারবার আসবে না’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের একটা অবস্থা আসছে। আমাদের ভাবতে হবে…যদি আমরা বিশ্বাস করি যে, শহীদ জিয়া এবং বিএনপি নতুন কিছু দেয়, নতুন এবং যুগান্তকারী দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য কাজ করে তাহলে আগামী দিনে বিএনপির পক্ষ থেকে যাদের মনোনীত করা হবে তাদের বিজয়ী করার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মনে রাখবেন- সুযোগ বারবার আসে না। ৩১ দফা যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, আপনারা নিশ্চয়ই সেটা দেখেছেন…সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বলা আছে, শ্রমিকদের কথা বিশেষ করে বলা আছে।  আমরা যদি এ পরিবর্তনে আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারি তাহলে আমাদের আকাঙ্ক্ষা অনেক কিছুই পূরণ হবে, যেটা শহীদ জিয়া শুরু করেছিলেন, আমরা সেগুলো শেষ করার চেষ্টা করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি যে, আপনারা এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা সবাই মিলে চেষ্টা করবেন- শুধু ঢাকায় না, আপনি এখানে না, যার যেখানে বাড়ি, যার যেখানে যোগাযোগ আছে, সব জায়গায় চেষ্টা করবেন; যাতে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হন।

 শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার-প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, ফিরোজ উজ জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।