বাংলাদেশের নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে জনসমর্থনে ‘আমজনতার দল’ ১০ এর মধ্যে না থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সদস্য সচিব তারেক রহমান।
বুধবার (৫ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি।
তারেক বলেন, ‘ইসির কর্মকর্তাদের আমাদের দলীয় কার্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাদের বসতে আমরা টুল দিয়েছিলাম। টুল তাদের পছন্দ হয়নি। আমাদের বেড়ার ঘরের অফিস ইসির পছন্দ হয়নি। ইসি পাকা ঘর দেখতে চেয়েছিল। আমাদের অফিসে ২৫ জনকে বসার ব্যবস্থা করেছি, টুল আপনাদের পছন্দ হয়নি। টিনের বেড়া দেওয়া ঘর পছন্দ হয়নি। আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। আমরা আসলেই বাচ্চা, কিন্তু আপনারা যেভাবে আমাদের চেপে ধরেছেন এটা চলতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসি যে শর্ত দিয়েছে তা কাছাকাছি পূরণ করেছি। ইসি বলে তারা নাকি চেনে না। কিন্তু দেশের মানুষ আমাদের চেনে। আমরা একটু বাঁকা বাঁকা কথা বলি ও উচিত কথা বলি। তাতে আপনারা রাগান্বিত হয়ে আমাদের নিবন্ধন দেননি। ওপর থেকে ফোন, আমাদের নিবন্ধন দেওয়া যাবে না। কিন্তু আপনাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না, আপনারা কি এটা চান? যদি তাই চান তবে দেশের মানুষকে মেরে রোবট বানান, তাহলে সবাই আপনাদের জ্বি হুজর জ্বি হুজুর বলবে।’
সরকারের সমালোচনা করে তারেক বলেন, ‘কথা ছিল উপদেষ্টারা নির্বাচন করবেন না। কিন্তু দেখছি তারা নির্বাচন করবেন। উপদেষ্টারা আরও একটা দল গড়তে চাচ্ছেন, যাতে করে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপির গাজী সালাউদ্দিন তানভীর (যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর) কেন বই ছাপানোর নামে ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা মেরে খাইছেন? কেন আমাদের বাচ্চারা জুলাই মাসে এসে বই পাইলো? জানুয়ারির বদলে জুলাই মাসে কেন বই পাইলাম, এটা তাদের ব্যর্থতা। এটা বলার কারণে আমাদের এই অবস্থা। উপদেষ্টাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আমাদের এই অবস্থা। মূলত উচিত কথা বলার কারণেই আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হয়তো ভোট কম পাবো, জিতবো না। কিন্তু স্বল্প সমর্থন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’
অন্য কোনো দলে যাবেন কি না জানতে চাইলে তারেক বলেন, ‘অন্য কোনো দলে যাবো না। আমরা নিজেরাই নিজের দলে থাকবো। আমরা ঢেঁকি মার্ক চেয়েছিলাম কিন্তু কিছুই পাইনি।’