সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ–আশাশুনি) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় ‘গরিবের ডাক্তার’ খ্যাত অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল আলমের নাম না থাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে কালিগঞ্জের নলতা বাজার এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করার পরপরই কালিগঞ্জ ও আশাশুনি এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। রাতেই ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন।
মিছিলটি নলতা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা স্লোগান দেন—“গরিবের ডাক্তার শহিদুল আলমের বিকল্প নেই”, “মনোনয়ন বাতিল করো, শহিদুল আলমকে দাও”, "কাজী হটাও, ধানের শেষ বাঁচাও",।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, উপজেলা বিএনপির সাবেক স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক এসএম হাফিজুর রহমান বাবুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডা. শহিদুল আলম শুধু দলের নেতা নন, তিনি গরিব ও দুঃখী মানুষের আশার নাম। মাঠের রাজনীতিতে তিনি যেমন ত্যাগী, চিকিৎসা সেবায়ও তেমনি নিবেদিত। এমন একজন জনপ্রিয় নেতাকে বঞ্চিত করা কালিগঞ্জ–আশাশুনির বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য গভীর আঘাত।”
তারা বলেন, সাতক্ষীরার মানুষের কাছে ডা. শহিদুল আলম ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত। প্রতি সপ্তাহে তিনি ঢাকা থেকে নিজ এলাকা নলতায় ফিরে এসে অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। এই মানবিকতা ও জনপ্রিয়তাই তাঁকে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক করেছে।
বক্তারা মনোনয়ন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে বলেন, ডা. শহিদুল আলমকে বাদ দিলে এই আসনে বিএনপির সংগঠন দুর্বল হবে, জামায়াত লাভবান হবে। তারা জানান, প্রয়োজন হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।
বিক্ষোভ শেষে নেতাকর্মীরা নলতা বাজার এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাপ্ত করেন।