বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন–এর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। সোমবার বিকালে রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি এবং দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা।
আলোচনায় জুলাই সনদে স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান, চীন–বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় চীনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবি পার্টির প্রতিনিধি দলকে তার বাসভবনে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।
আলোচনার সময় মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে ইতোমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এখন বল সরকারের কোর্টে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণের পর সরকার খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হবে।
বৈঠকে গণভোট, নির্বাচন এবং দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশ তার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারাতে পারে। ফ্যাসিবাদী শাসনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে অর্থনৈতিক ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তা ব্যাহত হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, এবি পার্টির নীতিগত অবস্থান ও ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরে জনগণের ইচ্ছা যেন কার্যকরভাবে প্রতিফলিত হয়—এ ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন স্পষ্টভাবে জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় চীন সবসময় পাশে থাকবে।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডিরেক্টর ঝাং জিং এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তা লিউ হংরু।