পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তখন তার ‘সামরিক লাঠি’ নিজের পায়ের ওপর রেখেছিলেন বলে জানান সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘এটি খুবই দৃষ্টিকটু, বাংলাদেশের জন্য অমর্যাদাকর। এটা কোনো প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না। কোনো অবস্থাতেই প্রটোকলের মধ্যে পড়ে না।
আজ সোমবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, ‘এভাবে লাঠি নিয়ে কোনো সামরিক জেনারেল বিশ্বের অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। এটা কেন বাংলাদেশে ঘটল?’
গত শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। এ সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এই বৈঠক সম্পর্কে গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘পাকিস্তান এই মুহূর্তে তাদের সামরিক শক্তিকে পণ্য হিসেবে বিক্রি করতে চাচ্ছে, ভাড়া দিতে চাচ্ছে। তারা তাদের শ্রমশক্তি তাদের যে অ্যাগ্রিকালচারাল প্রডাক্ট বা তাদের যে শিল্পজাত দ্রব্য এগুলো দিয়ে কোনো অবস্থাতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারছে না। ফলে তাদের যে একটা বিশাল ইফেক্টিভ মিলিটারি পাওয়ার রয়েছে সে মিলিটারি পাওয়ারটাকে কাজে লাগিয়ে তারা অর্থ উপার্জন করতে চাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের জেনারেল সাহেব লাঠি হাতে বাংলাদেশে আসার পর ড. ইউনূসের সামনে ওভাবে লাঠি হাতে বসার এই দৃশ্য দেখার পরে দিল্লির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।