
গাজীপুর জেলা বিএনপিতে এখন বড়ই বেপরোয়া চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যার কোনো হদিসই ছিল না। অথচ হঠাৎ করে গত বছর ৫ আগস্টের পর বিএনপিতে এসে পেয়ে যান জেলার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সচিবের পদ। এর পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। শীর্ষ পদ পেয়ে রীতিমতো দলের ভেতরে ও বাইরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। প্রভাব বিস্তার করে গঠন করেন বিভিন্ন পকেট কমিটি। নিজ এলাকা কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর কমিটিতে পতিত আওয়ামী লীগ ও হাইব্রিডদের স্থান দিয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাজানো বাগান লন্ডভন্ড করে দেন।
অন্যদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে নানা জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করেন। যার অসংখ্য অভিযোগ এখন মানুষের মুখে মুখে। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ত্যাগী নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা। ফলে এলাকায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এক রকম মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন সরেজমিন এলাকা ঘুরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
কালিয়াকৈর উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৭ থেকে ১২নং ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর-১ আসন। স্থানীয়রা জানান, বিগত আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপক মামলা-হামলার শিকার হন। এ কারণে এলাকায় থাকতে পারেননি বহু নেতাকর্মী। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে কারও পাশে ছিলেন না ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। তাদের কোনো খোঁজও নেননি তিনি। ‘সুসময়ের মাছি’ হিসাবে গণ-অভ্যুত্থানের পর হঠাৎ করে আবির্ভাব ঘটে তার। জেলার শীর্ষ পদ পাওয়ার পর ইশরাক গড়ে তোলেন নিজস্ব একটি বাহিনী। বিএনপির দুর্দিনে যাদের কেউ কখনো এলাকায় দেখেনি।
এ কারণে ইশরাকের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, তার বাহিনীর আধিপত্যে এখন কোণঠাসা বিগত দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা, যা ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ ভোটাররাও। এসব কারণে এখন বিএনপির এই নেতার জনপ্রিয়তাও শূন্যের কোঠায়। যদিও তিনি বিভিন্ন জায়গায় দলের হাইকমান্ডের নাম ভাঙিয়েও প্রভাব বিস্তার করছেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ রকম বিতর্কিত নেতাকে তারা ধানের শীষের কান্ডারি হিসাবে দেখতে চান না। ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন ও বিগত দিনে যিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন-এমন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর মতো বিতর্কিত কোনো নেতাকে যদি গাজীপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে নিশ্চিত পরাজয় হবে। দলের বাইরেও সাধারণ ভোটাররাও এ ধরনের বিতর্কিত প্রার্থী দেখতে চান না।
এদিকে যুগান্তরের কাছে কয়েকজন বিশ্লেষকও এমন মন্তব্য করে বলেন, শুধু গাজীপুর-১ আসন নয়, যে কোনো আসনে যদি ফাঁকফোকর গলিয়ে বিতর্কিত কোনো নেতা মনোনয়ন পান সেক্ষেত্রে জয়লাভ করা নিয়ে নানা শঙ্কা থাকবে। বিশেষ করে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে যদি বিতর্কিতরা মনোনয়ন পান তাহলে দলের ভেতর ও বাইরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘এ রকম হলে সেখানে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। জনপ্রিয় নয় এবং দলের জন্য ত্যাগ নেই-এ ধরনের প্রার্থী মনোনয়ন দিলে সারা দেশে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এছাড়া এসব প্রার্থী হেরে যাবে। এ কারণে অন্যান্য আসনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা নিরুৎসাহিত হবে। আর দল তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। সুতরাং কোনো দলের এমন ঝুঁকি নেওয়া উচিত হবে না।’
জানা গেছে, গাজীপুর বিএনপির জেলা কমিটি গঠনের পর কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে গত ২৭ মার্চ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর একটি আবেদন করা হয়। ‘দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে’ উল্লেখ করে এতে স্বাক্ষর করেন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আবেদনে বলা হয়, ‘গাজীপুর জেলাধীন কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌর বিএনপিসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করছি যে, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ এই নীতিকে ধারণ করে প্রতিটি ইউনিটের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক বজায় রেখে বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছি। দুঃখের সঙ্গে পরিলক্ষিত হচ্ছে, গাজীপুর জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী মনোনীত হওয়ার পর আমাদের ও ইউনিট নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শ না করে ত্যাগী ও ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করার ধ্যান-ধারণায় নিজের মতো করে কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন। ফলে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ১৬ বছরে তার কোনো ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা না থাকায় জেল-জুলুম দূরের কথা তার বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলাও হয়নি। তার কাছ থেকে দলীয় নেতাকর্মী কোনো প্রকার সহযোগিতা পায়নি। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের না জানিয়ে ইফতার মাহফিল করে একই ছবি বারবার দলীয় মিডিয়া সেলে প্রচার করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও রাজনৈতিক প্রতারণার শামিল।’
আবেদনপত্রে আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যে তিনি ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সমাজে মাদকাসক্ত বলে পরিচিত ও ঘৃণিত অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নিজ স্বার্থে গাজীপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন, যা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এতে দল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়গুলো সুবিবেচনা করে অবিলম্বে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রদানে আপনার সুমর্জি কামনা করা হয়।’
জানা গেছে, এরপরও ইশরাক সিদ্দিকী নিজের মতো করে উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন করেছেন। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কালিয়াকৈরে বিএনপি দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ত্যাগী ও মূল বিএনপির নেতাকর্মীরা তার থেকে আলাদা হয়ে নানা কর্মসূচি পালন করছে।
সরেজমিন গিয়ে কালিয়াকৈর তৃণমূলের ত্যাগী অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী ও ৫০ জনের মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে যুগান্তর। তারা জানায়, ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর মাঠে তেমন কোনো পরিচিতি নেই। ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি করায় তিনি নেতাকর্মীদের মন থেকে উঠে গেছেন। তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। কালিয়াকৈরে তৃণমূলের ত্যাগী নেতারা হামলা-মামলা, জেল-জুলুম- নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অথচ ইশরাক ও তার বর্তমান কমিটির নেতাদের নামে কোনো মামলা নেই। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের দোসর, নব্য হাইব্রিড ও দালাল প্রকৃতির লোক থাকায় তিনি এখন বিতর্কিত নেতা হিসাবে চিহ্নিত।
তারা আরও বলেন, এমনকি ইশরাকের দেওয়া কমিটির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ রয়েছে-যারা গত সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীক গলায় ঝুলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছেন। তার পকেট কমিটির অনেকের নৌকা প্রতীকের ব্যাজ ঝুলিয়ে রাখা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা বিব্রত ও সংক্ষুব্ধ। এ অবস্থায় ইশরাকের কর্মকাণ্ড দল এবং দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে হওয়ায় কালিয়াকৈর বিএনপির ত্যাগী নেতারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌচাক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর কমিটিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সিকদার দীর্ঘদিন মৌচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। যার আপন চাচাতো ভাই কামাল উদ্দিন সিকদার আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়া নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে চলেছেন। তাহলে তিনি কীভাবে ওই পদ দখল করে আছেন?
তিনি আরও বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়েছে আনোয়ার হোসেনকে। অথচ যিনি ছিলেন তার বাবার পিএস। এছাড়া এই আনোয়ার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ১৭ বছর ঝুট ব্যবসার সুবিধা নিয়েছেন। ফলে আমরা এ ধরনের পকেট কমিটির বিরুদ্ধে অনেকবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু ইশরাক সিদ্দিকী তা আমলে নেননি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিধান কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ‘যেসব নেতাকর্মী নির্যাতিত হয়েছেন, দলের জন্য জেল খেটেছেন তারা পদ-পদবি পাননি। বিষয়টি খুবই কষ্টের। আমার নামে ৮-৯টি মামলা হয়েছে। জেল খেটেছি। তবে ওইভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম সিকদারের রাজনৈতিকভাবে অবদান ছিল না। অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। কোনোদিন ঢাকার মিছিলে তাদের পায়নি। পুলিশ প্রতিদিন আমার বাড়িতে যেত, অথচ কমিটিতে নাম নেই।’
স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এতকিছু উপেক্ষা করেও কালিয়াকৈরে বিএনপির তৃণমূলের পুরোনো ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের জন্য কাজ করছেন। দলের নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সভা-সমাবেশ হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা বিএনপির জন্য কাজ করছেন। কিন্তু দলীয় বিতর্কিত, আওয়ামী দোসর ও দালালদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যেখানে কালিয়াকৈরে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেখানে চৌধুরী ইশরাক সিদ্দিকী তাদের সাজানো বাগানকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।
কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে আওয়ামী লীগের লোকজন পদ-পদবিতে রয়েছে। ইশরাক সিদ্দিকী দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। ১৬ বছর যারা রাজপথে ছিল তাদের বাদ রেখে হাইব্রিডদের পুনর্বাসন করেছেন। ফলে কালিয়াকৈরে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন বিভাজিত। এর জন্য দায়ী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।’
গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি ও চাপাইর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার কমিটিতে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ১৬ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এবার কমিটিতে আমাকে সদস্য রাখা হয়নি। উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিতে যারা রাজপথে আন্দোলন করেছেন, জেল খেটেছেন সেসব ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সত্য নয়। জানামতে বিএনপির কমিটিতে কোনো আওয়ামী লীগ ও হাইব্রিড নেতা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো নিজস্ব বাহিনী নেই। সবাই বিএনপি করি। সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করছি। যারা আমাকে অভিযুক্ত করে এসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কালিয়াকৈর বিএনপিতে কোনো সমস্যাও নেই।’