Image description

এবার ভারতকে অভিনব আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের সেনাকর্তা জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। গত সপ্তাহে মির্জা দাবি করেছিলেন, ভারতে রাজনৈতিকীকরণকৃত সামরিক বাহিনী এবং সামরিকীকরণকৃত রাজনীতি রয়েছে। এবার ফের ভারতকে আক্রমণ করলেন তিনি। ইসলামাবাদ সিম্পোজিয়াম ২০২৫-এ অংশ নিয়েছিলেন ওই সেনাকর্তা। সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘পাকিস্তান আলোচনা পছন্দ করে। কিন্তু আমরা ভারতের মতো এমন এক দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছি যারা উত্তেজনা বৃদ্ধির সীমানাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অবিলম্বে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন।’

এরপরই সেনাকর্তা দাবি করেন, 'ভারতের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নশীল দেশগুলির আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। ওরা আসলে ‘ট্রয়ের ঘোড়া’।” তিনি বিচ্ছিন্নতার পরিবর্তে সংলাপ, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তি এবং উগ্রপন্থার পরিবর্তে ভদ্রতার প্রতি তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।  পাক জেনারেল মির্জা আরও বলেন, ‘ভারত গ্লোবাল সাউথের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি বড় অংশীদারিত্বের জন্য আগ্রহী। তবে, তারা আধিপত্যবাদ এবং সম্প্রসারণবাদকে লালন করে। মৌলবাদের কল্পনা করে এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারকে স্পষ্টভাবে অমান্য করে।’

পাকিস্তানের জেনারেল মির্জাকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (সিওএএস) আসিম মুনিরের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এর আগে ২০২৫ সালের মে মাসে শাংরি-লা সংলাপে, পাকিস্তান জেনারেল, পে লগাম সন্ত্রাসী হামলা-পরবর্তী পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, যুদ্ধের তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে। তবে ঝুঁকি এখন বিতর্কিত অঞ্চল ছাড়িয়ে সমগ্র ভারত এবং পাকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। তিনি ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার জন্য ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থানকে দায়ী করেছেন, যাকে তিনি ‘চরমপন্থী মানসিকতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।  

জেনারেলের দাবি, ‘ক্ষতি ও ধ্বংস এড়াতে ভারত  সম্ভবত অনেক দেরি করে ফেলবে। লাল রেখার প্রতি ভারতের শ্রদ্ধার অভাব, তার আধিপত্যবাদী ভঙ্গি এবং বিশ্বাসের অভাব অর্থবহ সংকট সমাধানের প্রক্রিয়াকে অকার্যকর করে তোলে।’ যখন দুই দেশ পারমাণবিক শক্তিধর সেখানে যুদ্ধের কোনো স্থান নেই বলেও সতর্ক করে দেন পাক জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা।

সূত্র : দ্য প্রিন্ট