
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে নেমে মাতুয়াইল কবরস্থানের দিকে যেতে রাস্তার মুখে ডানদিকে টং দোকানের ওপর বিশাল বিলবোর্ড। তাতে বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদের ভোটের প্রচারণা। একটু সামনে বামপাশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীর বিলবোর্ড। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেনের প্রচারণাও কম নয়।
রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-৫ আসনের অলিগলিতে এখন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। যাত্রাবাড়ী এবং ডেমরা থানা নিয়ে ঢাকা-৫ আসন গঠিত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০ ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড এ আসনের অন্তর্ভুক্ত। এটি জাতীয় সংসদের ১৭৮ নম্বর আসন।
এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন প্রচার-প্রচারণা। ঘুরে ঘুরে বিলি করছেন হ্যান্ডবিল, দোয়া চাইছেন ভোটারদের কাছে। কেউ কেউ অংশ নিচ্ছেন উঠান বৈঠকে। শামিল হচ্ছেন নাগরিক সমস্যার সমাধানে আয়োজিত নানা কর্মসূচিতে।
সরেজমিনে আসনটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসনটিতে বিএনপির তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। দলটির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী ও জাকির হোসেন নয়ন।
এখনো অন্য প্রার্থীদের মাঠে সেভাবে দেখছি না। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে সবাই মাঠে নির্বাচনি প্রচরণায় সরব হবে। আমি চাই সব প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে আসুক। এতে ভোট করে আনন্দ পাবো।- নবীউল্লাহ নবী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন দিয়েছে মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর হাজি মো. ইবরাহীম। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে এ আসনে এখনো কাউকে প্রচারণায় নামতে দেখা যায়নি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. রাশেদুল ইসলামের (রাশেদ) প্রচারণা চোখে পড়েছে।
বিএনপিতে মনোনয়নের মূল লড়াইয়ে সালাহউদ্দিন-নবীউল্লাহ
বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী ও জাকির হোসেন নয়ন এ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিএনপির তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রচারণায় এগিয়ে নবীউল্লাহ নবী। তিনি উঠান বৈঠক, গণসংযোগ করছেন নিয়মিত। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) তাকে যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে গ্যাস সংকটের প্রতিবাদে মানববন্ধনেও অংশ নিতে দেখা যায়।
এ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি পক্ষ জানায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ এখন অনেকটা অসুস্থ, প্রায়ই তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাই এ আসনে তাকে নিয়ে প্রচারণা হলেও এটি খুব একটা কাজে আসবে না। এছাড়া ঢাকা-৪ আসনে তার ছেলে তানভীর আহমেদ রবিনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথাও ভাবছে দল। এবার দলের নীতি- এক পরিবার এক প্রার্থী। সেক্ষত্রেও তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন না।
তবে সালাহউদ্দিনের পক্ষের নেতাকর্মীরা জানান, তিনি পরীক্ষিত নেতা। এখনো তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। এখন পর্যন্ত দল কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেয়নি। সুতরাং, তার প্রচারণা চালানোর মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।
উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান ধারণ করে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আমার প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছি, সবার একটিই কথা- এখানে সুশাসন দরকার, এখানে মানবিক শাসন দরকার।-মোহাম্মদ কামাল হোসেন
অন্যদিকে জাকির হোসেন নয়ন একজন ব্যবসায়ী নেতা। বিএনপির নেতাকর্মীদের কেউ কেউ বলছেন, নয়ন আমেরিকা প্রবাসী ছিলেন। তিনি ইউনাইটেড পেট্রোল পাম্পের মালিক। আগে কখনো বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন না। মনোনয়নে মূল লড়াইটা হবে সালাহউদ্দিন আহমেদ ও নবীউল্লাহ নবীর মধ্যে।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে নবীউল্লাহ নবী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল, সেখান থেকে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইবেন। আবার অনেকে মশকরাও করে। মশকরা করে ব্যানার-ফেস্টুন লাগায়। আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন, এক পরিবার এক প্রার্থী। তবে অনেকে তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশ উপেক্ষা করে নানা কার্যক্রম করছেন, এর কোনো ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘অন্য দলের প্রার্থীরাও রয়েছেন। প্রতিযোগিতা না থাকলে তো নির্বাচন সুন্দর হয় না। আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করছি, গণসংযোগ করছি। নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছি। দল থেকে আমাকে নির্বাচনের জন্য মাঠে নামতে ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাওয়ার জন্য বলেছে।’
মাঠে গিয়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে নবীউল্লাহ নবী বলেন, ‘২০১৮ সালে দুর্যোগ মুহূর্তের নির্বাচনে আমি দুই ঘণ্টায় ৬৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। এবার মানুষের মধ্যে যে সাড়া, লেভেল প্লেইং ফিল্ড থাকলে মনে করি তিন লাখ ভোট পেয়ে আমি জয়ী হবো।’
‘এখনো অন্য প্রার্থীদের মাঠে সেভাবে দেখছি না। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে সবাই মাঠে নির্বাচনি প্রচরণায় সরব হবে। আমি চাই সব প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠে আসুক। এতে ভোট করে আনন্দ পাবো।’
সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে দল থেকে বলেছে, তাকে দিয়ে নির্বাচন হবে না। তিনি বিতর্কিত হয়ে গেছেন। দল এখন তার ছেলে রবিনকে মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে, সেটাও ঢাকা-৪ এ। এছাড়া তিনি অসুস্থ, স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন না। তিনি কীভাবে নির্বাচন করবেন?’
নির্বাচন বিষয়ে কথা বলতে সালাহউদ্দিন আহমেদকে ফোন করলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলেও সাড়া মেলেনি।
জুলাই স্পিরিট ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে জামায়াত প্রার্থী
এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন। নির্বাচনি এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তার ব্যানার-ফেস্টুন চোখে পড়েছে। তিনিও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। লিফলেট বিতরণ করছেন। জুলাই স্পিরিট ধারণ করে মাঠে প্রচার-প্রচারণায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কামাল।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাঠে সক্রিয় আন্দোলনের কারণে আমরা জেল-জুলুমের শিকার ছিলাম। আওয়ামী লীগ শাসনামলে আমাকে নয়বার জেলে যেতে হয়েছে, ৮৫৩ দিন জেলে ছিলাম। জুলাই বিপ্লবে ঢাকা-৫ আসন ছিল অগ্নিগর্ভ। এ সময়ে আমরা মাঠে ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান ধারণ করে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আমার প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছি, সবার একটিই কথা- এখানে সুশাসন দরকার, এখানে মানবিক শাসন দরকার।’
‘ঢাকা-৫ আসন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। এছাড়া মাদক, দখলের মতো সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলছি। সবাই এ আসনে একজন শিক্ষিত, জনদরদি ও সৎ নেতৃত্ব চান, যিনি এলাকা নিয়ে ভাববেন। সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি, এ বিষয়গুলো ফোকাস করে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
‘যারা অতীতে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। আমি জনগণকে বলেছি- আমি জুলাই যোদ্ধা, মাঠে ছিলাম, আমাকে আপনারা সব সময় পাশে পাবেন। আমরা আশা করি এখানে দাঁড়িপাল্লা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’
কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রকামী সব প্রার্থীকে স্বাগত জানাই। তবে ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর যাদের হাতে আমাদের শহীদদের রক্ত লেগে আছে, আমরা তাদের কোনোভাবেই মেনে নেব না। কোনো ভোটার মেনে নেবে না।’
বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া ঢাকা-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর হাজি মো. ইবরাহীম। তিনিও প্রচারণা শুরু করেছেন। নির্বাচনি কর্মশালা, পরামর্শ সভা, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে এ আসনে এখনো কাউকে প্রচারণায় নামতে দেখা যায়নি। তবে দলটির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানায় এনসিপি সূত্র।
আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ) নামে একজন ব্যক্তির কিছু পোস্টার দু-একটি জায়গায় দেখা গেছে।
এলাকাবাসীর চাওয়া
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী এলাকা ছিল অগ্নিগর্ভ। আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ চরম নিষ্ঠুর হয়েছিল যাত্রাবাড়ীতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে ব্যাপক প্রাণহানি হয়। নানান কারণে আসনটি গুরুত্বপূর্ণ।
এলাকাবাসী জানান, ঢাকার মধ্যে হলেও মাতুয়াইল, শেখদী, ডগাইর, স্টাফ কোয়ার্টার, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, হাজীনগর, কেরানীপাড়া, কাজলা, মীরহাজিরবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো নাগরিক সুবিধা নেই। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর রাস্তাঘাটের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গড়ে উঠছে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও। তবে এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এখনো বিশাল এলাকার রাস্তাঘাট খারাপ। পর্যাপ্ত ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। গড়ে ওঠেনি ভালো আবর্জনা ব্যবস্থাপনা কাঠামো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকেও রাজধানীর যে কোনো এলাকা থেকে পিছিয়ে এ আসন। মশার উৎপাতের কথাও জানিয়েছেন প্রায় সবাই। তারা বঞ্চনার অবসান চান।
রায়েরবাগ দোতলা মসজিদের সামনের মুদি দোকানি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি বুঝি না। শান্তিতে থাকতে চাই। যে শান্তি দেবে তারেই ভোট দিমু।’
মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়ার চাঁনবানু মসজিদ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহরিয়ার হোসাইন বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই চাঁনবানু মসজিদের সামনে পানি জমে। এখানকার মানুষের চলাচলে খুবই কষ্ট। এখানে মশাও অনেক। যেই আসুক আমরা চাই এ সমস্যাগুলো সমাধান করবে।’
ভোটের হিসাব-নিকাশ
১৯৯১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আরও চারটি আসনের সঙ্গে এ আসন থেকে নির্বাচন করেন। খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন। ফলে এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিএনপির মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে এ কে এম রহমতুল্লাহ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে ফের কামরুল ইসলাম এমপি নির্বাচিত হন।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান মোল্লা। ২০২০ সালের ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা গেলে এ আসনে উপ-নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি নির্বাচিত হন।
সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান হারুনর রশিদ মুন্না। মনোনয়ন না পেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের সবশেষ খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, এ আসনের ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৬৯২। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৩ আর নারী ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জন। হিজড়া ভোটার তিনজন।