Image description

এ কে আজাদ আওয়ামী লীগ করেন তা সর্বজনস্বীকৃত, নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

তিনি বলেন, এ কে আজাদ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ২০২৪ এর অবৈধ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন।

তার নির্বাচনী প্রচারণায় তখনও আওয়ামী লীগের একটা গ্রুপ ছিল। এখনও তিনি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়েই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটা নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই।

নায়াব ইউসুফ আরও বলেন, তিনি (এ কে আজাদ) বলেন যে, তিনি আওয়ামী লীগ করেন নাই। স্বৈরাচার সরকারের ডাকা প্রেস কনফারেন্সে দেওয়া তার সেই বক্তব্য এখনও মুছে যায়নি। এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সেই বক্তব্য ঘুরে বেড়াচ্ছে... ‘শুরুতে আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই— জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’! তার দেওয়া সেই বক্তব্য তিনি নিজে ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ভোলেনি।‘মজার বিষয় হলো আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) তিনি (এ কে আজাদ) যাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেখানেও তার ঠিক পেছনেই দাঁড়ানো ব্যক্তি বাখুন্ডার যুবলীগের ‘দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী’ রিয়াদ। তার চারপাশে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের ক্যাডার, সন্ত্রাসী যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছিল। কোনো এক অজানা কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।

মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক বলেন, এ কে আজাদ বিএনপি তথা আমার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র।

নায়াব বলেন, আমি আবারও বলছি তিনি (এ কে আজাদ) ব্যক্তিগত প্রচারণার আড়ালে স্বৈরাচারের সন্ত্রাসীদের একত্রিত করছেন, তাদের উজ্জীবিত করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মদদ দিচ্ছেন। এসব কিছুর মূলে একটাই উদ্দেশ্য তা হলো পতিত স্বৈরাচারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু দেশবাসী তা কোনোদিন হতে দেবে না। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে এ সন্ত্রাসীদের রুখে দেবে। এই দেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান নেই।

উল্লেখ্য, এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য।