Image description
 

পিরোজপুরের নেছারাবাদে মো. মাহবুব হোসেন নামে এক জামায়াত নেতার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদার টাকা না দিলে জামায়াতের রাজনীতি ছাড়তে হবে, এমনকি রাজনীতি না ছাড়লে তাকে হত্যা করে লাশ খালে ভাসিয়ে দেওয়া হবে—এমন হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কামাল হোসেন ও হাফিজুর মৃধার বিরুদ্ধে।

 

সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেছারাবাদ উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জুলুহার গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে মাহবুব হোসেন বাদি হয়ে নেছারাবাদ থানায় জুলুহার গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে মো. কামাল হোসেন এবং মেসন্ডা গ্রামের মো. হাফিজুর মৃধার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কামাল ও হাফিজুর দীর্ঘদিন ধরে মাহবুব হোসেনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদার টাকা না দিলে জামায়াতের রাজনীতি ছাড়তে হবে এবং না মানলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে জুলুহার বাজারে তারা পুনরায় চাঁদা দাবি করলে মাহবুব হোসেন চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় তারা হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

ভুক্তভোগী মো. মাহবুব হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে বিভিন্ন সময় বিএনপি কর্মী পরিচয়ে কামাল ও হাফিজুর হুমকি দিয়ে চাঁদা চেয়ে আসছে এবং জামায়াতের রাজনীতি করতে নিষেধ করে। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক অপকর্মের রেকর্ড আছে। এ ঘটনায় আমি গতকাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, এই খবর শুনে রাত ১১টার দিকে কামাল তার নিজ দোকানঘর ভেঙে প্রচার করে বেড়ায় দোকানে ডাকাতি হয়েছে।’

সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মাহবুব ভাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি বাধা দিলে আমাকেও গালিগালাজ করে হুমকি দেয়। এই সন্ত্রাসীদের যথাযথ বিচার দাবি করছি।’

তবে কামাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হচ্ছে।’

নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি আমিন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।