
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আমার দেশের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এমনকি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে আমার দেশের রিপোর্টারের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লেখক, গবেষক ও আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য, শিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এবং ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। রোববার রাতে তারা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এসব প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
পিনাকী ভট্টাচার্য তার পোস্টে বলেন, ‘‘হাসিনা যখন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী তখন তার সাথে মাহমুদুর রহমান ফাইট করছে, একা। মাথা নত করেন নাই। আর ক্ষমতায় না যাইতেই বিএনপি আমার দেশের সাংবাদিককে তাদের গুলশান অফিসের মধ্যে তুলে পিটায়!! মাহমুদ ভাই কি বানের পানিতে ভাইস্যা আসছে?
নিজেদের ব্যর্থতার দায় কারো না কারো উপরে চাপাইতে হবে তো। তাই আমার দেশের সাংবাদিকের উপরে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে গো-হারা হওয়ার ঝাল মিটায়। প্যাথেটিক লুজার্স।
বাংলাদেশের মানুষ এর জবাব দিবে।’’
শিবিরের সেক্রেটারি সাদ্দাম তার পোস্টে বলেন, ‘‘আজ রবিবার বিএনপির গুলশান অফিসে আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে ফোন এবং আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া এবং মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের উপর এধরণের নগ্ন হস্তক্ষেপ কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’
অপরদিকে সাদিক কায়েম তার পোস্টে বলেছেন, ‘‘আজ রবিবার বিএনপির গুলশান অফিসে আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে ফোন এবং আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া এবং মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের নগ্ন হস্তক্ষেপ গণতন্ত্র ও মুক্তমত চর্চার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে ছাত্রশিবিরের পাঠানো প্রেস রিলিজ সংবাদে প্রকাশ করায় আরটিভির সাব এডিটর মাহফুজ উদ্দিন খানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আরটিভির নিয়ন্ত্রণ নেন বিএনপি নেতা এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো। তার নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য ও মত প্রকাশের যে স্বাধীনতার জন্য আমরা এত রক্ত দিলাম, সেই আত্মত্যাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও সাংবাদিকদেরকে শত্রু মনে করার ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পুনরায় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপপ্রয়াস দেখতে পাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া উচ্ছিষ্ট ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির হাল ধরার চেষ্টা যে বা যারাই করবেন, নতুন প্রজন্মের কাছে তারা দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবেই পরিগণিত হবেন।’’