
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে।রোববার বিকাল সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হন।এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
হামলার শিকার ‘আমার দেশ’ পত্রিকার প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তিনি সকাল থেকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হট্টগোলের সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে মারধর করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ভিডিও করছিলাম। হঠাৎ ৩–৪ জন এসে আমাকে টেনে নিয়ে যায়। তারা আমার মোবাইল ভেঙে ফেলে, প্রেস কার্ড কেড়ে নেয়। আমি জানাই যে ভিডিও করা নিষেধ হলে আমি মুছে ফেলব, কিন্তু কোনো কথা না শুনেই তারা আমাকে মারধর করে কার্যালয়ের বাইরে বের করে দেয়।’
এ সময় দ্য ডেইলি স্টারের সাজ্জাদ, নয়া দিগন্তের অসীম আল ইমরান এবং জাগো নিউজের খালিদ হোসেনও হেনস্তার শিকার হন বলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, একজন সাংবাদিককে রক্তাক্ত করা, মোবাইল ফোন ভাঙচুর ও আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া—এসব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মারধরের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা।তারা জানিয়েছেন, মারধরকারী ওই ব্যক্তির নাম ফয়সাল।
ঢাকা মেইলের চিফ রিপোর্টার বোরহান উদ্দিন বলেন, সহকর্মী সাংবাদিক জাহিদসহ যাদের গুলশান কার্যালয়ে আজকে আমার ভাইদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার নেতৃত্ব দিয়েছে তার নাম ফয়সাল। এই লোককে অন্তত ৫ আগস্টের আগে আমি দেখিনি। আপনারা দেখলেও দেখতে পারেন। সে নাকি অসম্ভব প্রভাবশালী। আপনি দলে প্রভাব বিস্তার করুন। কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে করবেন না। অবিলম্বে বিএনপি নিজে থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করবে, সেই প্রত্যাশা থাকলো।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, বিবৃতি ও কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করেন। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। আজকের ঘটনা আকস্মিক ও সম্পূর্ণ ভুল-বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।