Image description

সুনামগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনে ১১ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে নিজ নিজ আসনে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এর মধ্যে শুধুমাত্র সুনামগঞ্জ-৩ আসনে কাজ করবেন একজন। 

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব ও সিলেট বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক। 

জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য প্রয়াত নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুল হক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলকে আসন্ন নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অনুমতি পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল। 

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও এককভাবে মাঠে কাজ করার নির্দেশ পেয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন- সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডেভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল ও জেলা বারের বর্তমান সভাপতি ও জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হক।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারা) আসনে কাজ করার জন্য অনুমতি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী। 

এর আগে সুনামগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনি এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের রোববার বৈঠকের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বৈঠককে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। ঢাকা থেকে কী নির্দেশ দেওয়া হয়, সবাই সেই অপেক্ষায় ছিলেন।

এদিকে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারাভিযানে থাকা অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীকেই আজকের বৈঠকে ডাকা হয়নি। ডাক না পাওয়া মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারাও ঢাকায় গিয়েছেন। তারা দলের মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অ্যাডভোকেট আব্দুল হক জানান, পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডাকা হবে। তাছাড়া কারো বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে যেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিরত থাকেন- এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।