Image description

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। সেই সময়কে সামনে রেখে বিএনপির নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। পাশাপাশি প্রার্থী সিলেকশনে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে দলের হাইকমান্ড। ইতোমধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ে যোগ্যতার পাশাপাশি অযোগ্যতার পাঁচটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে দলটি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এবার বরাবরের মতো প্রার্থীর সাক্ষাৎকার বা তদবির নয়, নিজস্ব আমলনামার তথ্য ও ডিজিটাল পর্যক্ষেণে প্রাপ্ত তথ্যই মনোনয়নে প্রাধান্য পাবে।

সূত্রমতে, বিএনপির এই ডেটাবেজে মূল ৫টি যোগ্যতা এবং ৫টি অযোগ্যতার অপশন রাখা হয়েছে। ওই ঘরগুলো পূরণ করলে ডেটাবেজ সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় র‌্যাংকিং দেবে। তা সরবরাহ করা হবে মনোনয়ন নির্ধারণ কমিটিকে। কিছু বিশেষ কারণ ছাড়া এই র‌্যাংকিংকেই প্রধান্য দেওয়া হবে।

ডিজিটাল ডেটাবেজ ও অনলাইন স্ক্রুটিনিতে এই ৫ যোগ্যতার পাশাপাশি অযোগ্যতা নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে-কখনো দলের সঙ্গে বিদ্রোহ ছিল কি না, রাজনৈতিক মামলা ছাড়া ফৌজদারি অপরাধের তথ্য আছে কি না, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুবিধা নিয়েছেন কি না, ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর স্থানীয় রাজনীতিতে অপরাধে সম্পৃক্ততা আছে কি না, নির্বাচনি এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না।

সূত্র আরও জানায়, প্রত্যেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি, জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক কর্মদক্ষতা, পারিবারিক, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও ত্যাগ বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই ১০ শ্রেণির প্রশ্নের আরও ৫ থেকে ৭টি উপশ্রেণি রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য একত্র করে প্রত্যেক প্রার্থীর প্রোফাইল বিশ্লেষণ চলছে।

সম্প্রতি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী হিসেবে ‘গ্রীণ সিগন্যাল’ দেয়া হবে। পাশাপাশি দেশব্যাপী নির্বাচনকেন্দ্রিক গণসংযোগ কার্যক্রমও আরো জোরদার হবে।

এদিকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে ১০৯ আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রথম দফায় ১৪০ আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে ছয় দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ।

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় ধরেই সব আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরই অংশ হিসাবে অন্তত ২৯৬ আসনে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করেছে জামায়াত।