
গণভোটে রাজি হওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান এ জামায়াত নেতা।
তবে গণভোটের সময় নিয়ে ভিন্নতা থেকে গেছে উল্লেখ করে তাহের বলেন, গণভোট হবে সংস্কার কমিশনের জন্য। জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। গণভোটের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নির্বাচনি ক্যারেক্টারে (আচরণে) কিছু পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ ও ‘পিআর সিস্টেম বাই ভোটার নট বাই দি এমপিস’ এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। সুতরাং নির্বাচনের আগেই এই সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে উচ্চকক্ষের ভোট হবে। যদি এটা নির্বাচনের দিনই হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ তো পাস হলো না। তাহলে কি আবার একটা নির্বাচন হবে?
তাহের বলেন, বিষয়টা হলো সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই জামা-কাপড় কিনে ফেলার মতো। কারণ যে দিন ভোট হবে সেদিন পর্যন্ত তো আপার হাউস (উচ্চকক্ষ) নেই। হালে সেটার উপর ভোট হয় কীভাবে?
তিনি বলেন, এটা নিয়ে সাংবিধানিকভাবে জটিলতা তৈরি হতে পারে। যেটার অস্তিত্ব নেই সেটার উপর আগে ভোট, এটাকে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো হয়ে যায়।
তাহের বলেন, একই দিন ভোট হলে আরেকটি সমস্যা হবে যে দলীয় নেতাকর্মীরা সবাই দলীয় ভোট বাড়াতে তৎপর থাকবে। ঐকমত্য কমিশনের ব্যালট আছে নাকি নেই সেটা দলীয় লোকদের মাথায় থাকবে না- কারণ যেকোনোভাবে জিতা-হারার প্রশ্ন থাকবে। নির্বাচনের দিন প্রার্থীরও মাথা ঠিক থাকে না, সমর্থক-ভোটারদেরও মাথা ঠিক থাকে না। সবাই দলীয় ভোট নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। দেখা যাবে, ঐকমত্য কমিশনের ব্যালট নিয়ে অনেকে বাড়ি চলে গেছেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, গণভোট আগে হতে হবে। আমরা নভেম্বর মাসে গণভোটের প্রস্তাব করেছি।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ঐকমত্য কমিশনকে তারা বলেছেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেগুলো একটি প্যাকেজ করে একটি প্যাকেজেই গণভোট হতে হবে।