Image description
 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণাকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বুধবার পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলগুলো।

 

শিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি অভিযোগ করেন, আইডি ভবনের ২১৪ নম্বর রুমে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া ১০ থেকে ১৫টি ব্যালট পেপার বক্সে রাখা হয়েছে। তিনি নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ধরনের অসতর্কতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

 

তিনি আরো বলেন, ভোটের সময় আলাউল হলে ছাত্রদলের প্রার্থী ও বহিরাগতদের দেখা গেছে। প্রশাসন বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে এক ছাত্রী ভোট দিতে পারেননি। এমনকি ভোট শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মব সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করেছে—প্রশাসন তখনও নীরব।

রনি প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, ভোটের সময় বিজ্ঞান অনুষদসহ বেশ কয়েকটি ভবনের এলইডি স্ক্রিন ঘন ঘন বন্ধ ছিল। বারবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন আরো সতর্ক হতে পারত।

অন্যদিকে, ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোট গণনার আগ মুহূর্তে শিবিরের বহিরাগত ক্যাডাররা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে। এতে সুষ্ঠু ভোট প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, অনেক কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষ হলেও বাইরে লাগানো এলইডি মনিটরগুলো বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে ফলাফল নিয়ে সন্দেহ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সাজ্জাদ আরো বলেন, আমরা এখন ফল গ্রহণ বা বর্জনের কোনো সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি না। ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানো হবে।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, তাদের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।