Image description
 

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত দৈনিক ইনকিলাব ও কালবেলার একটি প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে চবি ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) চবি ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মাদ পারভেজ এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞা স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি পাঠানো হয়।

তারা বলেন, প্রতিবেদনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনীকে অভিযুক্ত করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া হয়নি। এমনকি সংবাদে উল্লেখও করা হয়নি যে প্রতিবেদক তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। এটি সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন।

 

নেতারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে একাধিক অসত্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ কোনো শিক্ষার্থীর সরাসরি বক্তব্য, নাম বা সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছেড়ে গেলে রনির নেতৃত্বে শিবির ক্যাম্পাসের দখল নেয়’—এই বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ, দলিল বা সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়নি। এটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদকের কল্পনা ও পক্ষপাতমূলক উপস্থাপনা।

 
 

এ ছাড়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘আগস্টের পর থেকে ক্যাম্পাসে অন্তত ১০টি গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততা রয়েছে।’ কিন্তু সংবাদে কোনো ভুক্তভোগীর নাম, বক্তব্য বা প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। কোনো ভুক্তভোগী শিবিরকে দায়ী করেছেন বা শিবির গুপ্ত হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, এমন কোনো প্রমাণ সংবাদে উল্লেখ ছিল না। এটি নিছক অনুমাননির্ভর।

 

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদে আরও বলা হয়েছে— ‘৬ ফেব্রুয়ারি বিজয় ২৪ হলে শিবিরের নেতাকর্মীরা নৌকার প্রতীক ভাঙতে গেলে ছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।’ এই তথ্যটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনো ঘটনার শিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বা সত্যতা প্রশাসন কিংবা শিক্ষার্থীদের কেউই কখনো নিশ্চিত করেনি। এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট সংগঠনকে কোণঠাসা করার উদ্দেশ্যমূলক গল্প।

তারা বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বদা শান্তিপূর্ণ, শিক্ষাবান্ধব ও শৃঙ্খলাপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সাংবাদিকতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশায় দায়িত্বশীলতা, নিরপেক্ষতা ও সত্যনিষ্ঠা বজায় রাখার আহ্বান জানাই।