Image description
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা ছয় শিক্ষককে পুনরায় সক্রিয় করার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জামাল কদু ঘোরে ফেরে, প্রশাসন কী করে’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের হুমকি ও দমনমূলক আচরণের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি (ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি) গঠন করেছিল। ওই কমিটির সুপারিশে ছয়জন শিক্ষককে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা হয়। তবে এক বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। বরং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শিক্ষক আ. ক. ম. জামাল উদ্দিন পুনরায় সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে যাতায়াত শুরু করেছেন এবং বিভাগে প্রবেশেরও চেষ্টা করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হুমকি ও হয়রানিমূলক আচরণের জন্য যেসব শিক্ষককে সাময়িকভাবে বিরত রাখা হয়েছিল, তাদের ফেরত আসা জুলাই স্পিরিটের পরিপন্থী এবং নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের প্রতি তিনটি দাবি উত্থাপন করেন-

১. অভিযুক্ত শিক্ষকগণের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা।


২. অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সকল প্রকার প্রবেশ ও যোগাযোগ কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা।


৩. একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা।

বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপের নিশ্চয়তা দাবি করেন।